জরুরি সেবা ছাড়া যে কারো ঢাকায় প্রবেশ ও ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
রোববার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানী কেন্দ্রিক সাধারণ মানুষের আগমন-বহির্গমন বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। সে অনুযায়ী পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি সেবা ব্যতীত সাধারণ জনগণকে ঢাকায় প্রবেশ অথবা ত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
একই সঙ্গে জনগণের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য যে কোনো জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত এককভাবে বা দলবদ্ধভাবে বাইরে ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, যে যেখানে আছেন, সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনগণের ঘরে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া
নৌপথে নৌযান বন্ধ
পদ্মার কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে জরুরি সেবা ব্যতীত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ঢাকামুখী অনেকে আটকা পড়েছেন।
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় দেশে এর বিস্তার ঠেকাতে প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলে ওই ঘাটে ফেরি চলাচল করছিল। শনিবার সেখানে ঠাসাঠাসি করে নদী পার হয় হাজারো মানুষ। এতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
বিআইডবিস্নউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম বলেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছিল। রোববার সকাল থেকে তিনটি ছোট ফেরি চালু রেখে অন্যগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
ওই তিনটি ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালের গাড়ি ও অন্যান্য জরুরি যান পার করা হবে বলে তিনি জানান।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে সব ফেরিসহ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘাটে যেহেতু অনেক ঢাকামুখী মানুষ এসেছে, তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘাটে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা রয়েছেন। জরুরি গাড়ি ব্যতীত অন্য কিছু পার করা হবে না।