মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

চমেকে ৫ দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের 'কমপিস্নট শাটডাউন'

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চমেকে ৫ দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের 'কমপিস্নট শাটডাউন'

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে ৫ দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য 'কমপিস্নট শাটডাউন' কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।

রোববার সকাল ৮টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে ও জানিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্যখাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে উলেস্নখ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ ফেব্রম্নয়ারি ৯০তম বারের মতো হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, সারা দেশের সব মেডিকেল কলেজের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে পূর্ণাঙ্গ রায় ও ৫ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য চমেক হাসপাতালে কমপিস্নট শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক আজমাইন রাহাত বলেন, সারাদেশেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সেটার অংশ হিসেবে আমরাও সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। দুপুরে একটি মানববন্ধন করে অধ্যক্ষ ও পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের প্রধান দাবি, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া আর কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো: এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না। বিএমডিসির উচ্চ আইনের ভিত্তিতে করা এ আইন দ্রম্নত কার্যকর করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত এমবিবিএস/বিডিএস চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদান নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ২০১০ সালের সরকারি ম্যাটস থেকে পাসকৃত ছাত্রদের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্ট্রার চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কর্মক্ষেত্রগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো চিকিৎসা করতে পারবে না। স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। ৫০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। অঞ্চলভিত্তিক স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সম্মুখ স্তরের চিকিৎসকদের নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের বিসিএসের কার্যক্রম আরও দ্রম্নত করতে হবে। সমস্ত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও মাধ্যমিক সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রেখে শুধু মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্য চিকিৎসকদের দিয়ে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে