শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী এবং সুপারিশ প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সরিয়ে নিতে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ - ফোকাস বাংলা

রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সরিয়ে নিতে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জের পর শাহবাগে রাস্তা থেকে সরে যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে যান। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে, এদিন দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে তারা। এ সময় শাহবাগ মোড়ে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জ উপেক্ষা করেই সড়কে বারবার অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ জলকামান থেকে কিছু সময় পর পর আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পানি ছুড়ছে। ফোটানো হয়েছে বেশকিছু সাউন্ড গ্রেনেড। এ সময় ব্যাপক লাঠিচার্জও করা হয়। আটক করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারীদের রেখে রাস্তা ছেড়ে দেন পুরুষরা। আটক এড়াতে তারা আশেপাশে অবস্থান নিয়ে নারীদের উৎসাহ দেন।

আন্দোলন বন্ধে পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন আহত হয়েছেন। জল কামানের পানিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কয়েকজন নারী আন্দোলনকারী।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সুপারিশপ্রাপ্ত হনন্তিএমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রম্নয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে