দেশজুড়ে আ'লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর-আগুন

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার কাজ অব্যাহত ছিল দ্বিতীয় দিনেও। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির ধ্বংসস্তূপ ঘিরে উৎসুক ছাত্র-জনতার ভিড় - ফোকাস বাংলা
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বুধবার রাতে ভাঙচুর শুরু হয়। বৃহস্পতিবারও এই ভাঙচুর চলে। এর পর থেকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের মু্যরাল ভাঙচুর, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চালানো হয় লুটপাট। খুলনায় ক্ষমতাচু্যত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি 'শেখ বাড়ি' ভাঙার মধ্য দিয়ে ঢাকার বাইরে এ ধরনের কাজ শুরু হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- নোয়াখালী :এদিকে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটিতে এ হামলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতালা ভবন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। পরে ভাঙচুর করা হয় তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও। এর আগে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৫ অগাস্ট বিকালে ওই বাড়ির পাঁচটি বসতঘর এবং দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ম আরো খবর পৃষ্ঠা ১২ করা হয়। ওইদিন বিক্ষুদ্ধ জনতাকে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। এমরান হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, '৫ অগাস্টের কিছুদিন পর কাদের মির্জা ভবনটি সংস্কার করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হল। তবে হামলা-ভাঙচুরের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিলেন না। কাদেরের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন।' ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তার ভাষ্য, 'ছাত্র-জনতা কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জার ও তার বাহিনীর লোকদের কাছে অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এতে সর্বস্তরের ছাত্র জনতা অংশগ্রহণ করেছে।' 'ভবিষ্যতে যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্টের আচরণ করেন, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।" হুঁশিযারি উচ্চারণ করেন আরিফুল। এ বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মোবাইল ফোনে কলা করা হলে, সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।## খুলনা :খুলনা অফিস জানায়, নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত 'শেখ বাড়ি'র একটি অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। রাতভর দুটি এক্সকাভেটর চালিয়ে বাড়ির প্রধান ফটক, দেয়ালসহ বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটি ক্ষমতাচু্যত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ আবু নাসেরের। এ বাড়িতে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বিসিবির সাবেক পরিচালক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন। বাড়িটি ভাঙচুরের সময় আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা স্স্নোগান দিতে থাকেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলার যুগ্ম-আহবায়ক কদরুল হোসেন বলেন, এই বাড়িটি ছিল খুলনা আরেকটি লুটপাট আর দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়স্থল। তারা গত ১৬ বছর যাবৎ খুলনা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন করেছে। এই বাড়িতে এসে খুলনা সব দপ্তরের টেন্ডারের নিয়ন্ত্রণ হতো। তারা মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করতো। এই বাড়িটি ছিল খুলনা বিভাগের অপকর্মের মূল কেন্দ্র। আমরা এই স্বৈরাচারের কোনো নাম নিশানা রাখতে চাই না।' একই সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা। এর আগে রাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে জুতা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে। এরপর তারা মূল ফটকের দিকে জড়ো হন। এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী বলেন, 'এই প্রতীকগুলো আমাদের জন্য নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের চিহ্ন। এগুলো থাকা অর্থ ২৪-এর গণ আন্দোলনকে কলুষিত করা। আমাদের ক্যাম্পাসে এর ঠাঁই নেয়। স্বৈরাচারকে এভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।' \হ বরিশাল বরিশাল অফিস ও ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাত থেকে বুলডোজার দিয়ে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুলস্নাহ এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কালীবাড়ি রোডে সাদিক আবদুলস্নাহর বাসভবনের সামনে ভিড় জমান। রাত দেড়টার দিকে বাসভবন ঘিরে ভাঙচুরের একপর্যায়ে বুলডোজার দিয়ে বাড়ির নিচতলার একাংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনতলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আজকেও বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা চলছিল। সাদিক আবদুলস্নাহর বাবা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুলস্নাহ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ক্ষমতাচু্যত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। রাত দুইটার দিকে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে আমির হোসেন আমুর বাসভবন বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা সকাল পর্যন্ত তিনতলা বাড়ির একতলার নিচের অংশ ভেঙেছেন। যশোর স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, যশোরে ৭টি স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শেখ হাসিনার নামফলকও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা হাতুড়ি, শাবল দিয়ে এসব ভাস্কর্য ও নামফলক ভাংচুর করে। এসময় 'নারায়ে তাকবির আলস্নাহ আকবরসহ' ফ্যাসিবাদ-বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে ভাংচুর করে কয়েকটি গ্রম্নপ। এর আগে থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, 'কয়েকটি স্থানে ভাংচুর হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই।' রাজশাহী রাজশাহী অফিস ও বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, সাবেক এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘার আড়ানী পৌরসভার চকসিঙ্গা মহলস্নায় তিনতলা বাসভবনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শতাধিক মোটর সাইকেলে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাড়িটির সামনে যান। এরপর কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে বাড়িটিতে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। দুই ঘণ্টার পর দুপুর ২টার দিকে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে বাড়ির সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। পাবনা পাবনা প্রতিনিধি জানান, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়অ এছাড়া পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নামফলকও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল আবাসিক হলের নামফলকও মুছে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড়ে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মিত বিদ্বেষ ছড়ানো 'ঘৃণাস্তম্ভ' ভেঙে গুড়িয়ে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকত উলস্নাহ ফাহাদ বলেন, 'দেশের? কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না ইনশাআলস্নাহ। ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায়।' এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, 'পাবনা জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। নিয়মিত? পুলিশের টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। পাবনা জেলা পুলিশ তৎপর আছে। আমরা এরকম (ভাঙচুর) কোনো অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।' কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ায় এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির একটি অংশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে শহরের পিটিআই সড়কে তিনতলা বাড়িটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ভাঙা শুরু হয়। এর আগে গত ৪ আগস্ট ও ৫ আগস্ট এই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, একটি এক্সকাভেটর নিয়ে প্রথমে বাড়ির প্রধান ফটক ও সীমানাপ্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্র-জনতা স্স্নোগান দিতে থাকে 'স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও'। এ সময় বাড়ির সামনে অনেকেই ভিড় করে। এর আগে উপজেলা মোড় থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা হানিফের বাড়ির সামনে আসে। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হানিফের বাড়িতে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এদিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হল থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম মুছে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাত নয়টার দিকে ক্যাম্পাসে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা মু্যরালে ক্ষমতাচু্যত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 'এক্সকাভেটর মিছিল' কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চারটি মু্যরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন ও সদস্যসচিব সাফ্‌ফাতুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল রাত ১০টা থেকে ছাত্র-জনতা সংগঠিত হতে থাকে। রাত ১১টায় সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে যান। এরপর সেখানে শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের দুটি মু্যরাল প্রথমে হাতুড়ি, শাবল ও রড দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পৌঁছায়। এ সময় মিছিলকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে স্স্নোগান দিতে থাকেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলার পাশাপাশি প্রধান ফটক, গ্রিল, নিচতলার দেয়ালের আংশিক ভেঙে দেওয়া হয়। রাত একটার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল একই এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভোলা স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা জানান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাসভবনে আগুন জ্বলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা সদরের গাজীপুর সড়কে 'প্রিয় কুটির' নামের ভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন একদল বিক্ষুব্ধ লোক। পরে তারা ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। তারা বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে দেয়ালে সাঁটানো বিভিন্ন ছবি, ক্রেস্ট ও কাগজপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেন। কয়েকটি ফ্যান ও আসবাব লুট করে নিয়ে যান। পিরোজপুর পিরোজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তাঁর ভাই সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। বুধবার রাত একটার দিকে শহরের পাড়েরহাট সড়কে এ ঘটনা ঘটে। গণ-অভু্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ ও ৬ আগস্ট বাড়ি দুটিতে একাধিকবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সিলেট সিলেটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙচুর হওয়া মু্যরালটি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত ১০টার দিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে তারা। এর আগে রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের কিনব্রিজ এলাকা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি বুলডোজার (হুইল এক্সকাভেটর) নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। পরে তাঁরা মু্যরালটি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন। সুনামগঞ্জ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচটি মু্যরাল এবং শহরের একটি পাড়ায় থাকা একটি মাজার বুধবার রাতে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাত ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী প্রথমে পৌর ভবন চত্বরে জড়ো হন। সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভাঙচুর করা হয়। এরপর শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে গিয়ে তাঁরা শেখ মুজিবর রহমানের আরেকটি মু্যরাল ভাঙচুর করেন। একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে থাকা মু্যরালগুলো ভেঙে ফেলা হয়। গভীর রাতে পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় হুসেন বখত চত্বরের দক্ষিণ পাশে থাকা 'ডংকা শাহের মাজার' হিসেবে পরিচিত আধা পাকা ছোট ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রংপুর রংপুরে বুধবার রাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মু্যরাল দুটি ভাঙচুর করেন। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের এক্সকাভেটর এনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরালটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। নাটোর নাটোর শহরে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের (শিমুল) জান্নাতি প্যালেসে আবার আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন। সেখান থেকে মাইক নিয়ে তারা মিছিল করতে করতে কান্দিভিটুয়ায় শফিকুল ইসলামের বাড়িতে যান। পরে তারা বাড়িটির গ্যারেজে থাকা আগের পোড়ানো একটি গাড়িতে আবার আগুন দেন। একই সময় তিনতলা এ বাড়ির বারান্দায় আগুন জ্বালানো হয়। ৫ আগস্ট গণ-অভু্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শফিকুল ইসলামের ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত ছিল। ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভাঙচুর করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। বুধবার রাতে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে মু্যরাল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আল নুর মো. আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, 'পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর আবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এ অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তারই প্রতীকস্বরূপ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও স্বৈরাচারের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।' অপর দিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের 'মুজিব মু্যরাল'। কিশোরগঞ্জ কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে পাবলিক টয়লেট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরের স্টেশন রোড এলাকায় দলটির পরিত্যক্ত ভবনের একটি ভাঙা দেয়ালে 'পাবলিক টয়লেট' লিখে দিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে শেখ মুজিবের একটি মু্যরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ওই পরিত্যক্ত ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্টের পর ভবনটিতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ওই সময় থেকে ভবনটির ভাঙা ও ঝুলে থাকা দেয়ালের অংশে গতকাল 'পাবলিক টয়লেট' লেখা হয়েছে। পরে ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে এটিকে 'পাবলিক টয়লেট' হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর খড়মপট্টি এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভাঙচুর করা হয়। চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও নগরের জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল ভাঙচুর করেন। রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো একাডেমিক ভবনের সামনে একটু মু্যরাল ভাঙছেন ২০-২৫ জন। তাদের কয়েকজনের হাতে হাতুড়ি ছিল। অন্যদের হাতে পাথর। স্থানীয় ভাসমান দোকানিরা বলেন, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ছিল। সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্ররা এসে সেটি ভাঙচুর করেন। মেডিকেলে ভাঙচুরের পর মশালমিছিলটি নগরের জামালখান এলাকায় যায়। সেখানে দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরালও হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা। এ সময় তারা সাংবাদিকদের বলেন, 'দেশকে অস্থিতিশীল করতে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে উসকানিমূলক বক্তৃতা দিচ্ছেন। দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। এটির প্রতিবাদে তারা ভাঙচুর করছেন। ফেব্রম্নয়ারিতে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্র করছে, তা রুখে দিতে ছাত্র-জনতা এখনো প্রস্তুত আছে। তা হতে দেওয়া হবে না কোনো অবস্থাতেই।' কুমিলস্না স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না জানান, সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধরা পেট্রল ঢেলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, 'রাত একটার দিকে কুমিলস্না নগরের মুন্সেফ বাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাহাউদ্দিনের বাড়ির জানালার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধরা। অনেকে বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে বাড়িটিতে ভাঙচুর চালান তারা। পরে পেট্রল ঢেলে বাড়ির কয়েকটি কক্ষে এবং ভবনের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ওই বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছিল।' রাত দুইটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিলস্না মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, 'ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও আবার কখনো ভিডিও বার্তা, কখনো অডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার এসব অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তাই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর শেষে বাহারের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। সাবেক এমপি বাহার বছরের পর বছর ধরে কুমিলস্নার মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছেন।' এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের রামঘাট এলাকায় অবস্থিত কুমিলস্না মহানগর ও কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। বিক্ষুব্ধরা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থাকা ইটের গাঁথুনি ভেঙে ফেলেন। নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁনমারী এলাকায় অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে কালো কালিতে ঢেকে দেওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে একদল আইনজীবীর উপস্থিতিতে হামার দিয়ে শ্রমিকেরা এই প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভাঙচুরকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন এবং সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক সাধারণ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছিল বিএনপির সাংস্কৃতিক দল জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা-কর্মীরা। ওই সময় সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। বেরোবি বেরোবি প্রতিনিধি জানান, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মু্যরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত পৌনে ১২ টায় বুলডোজার নিয়ে মু্যরালটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে রাত ১০ টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ফলক ভেঙে বিজয় ২৪ এবং বঙ্গবন্ধু মু্যরালের নাম মুক্ত মঞ্চ দেন। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলা হলেও এখনো কোনো নাম দেননি তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, 'বেরোবিতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ পরিবারের কোনো চিহ্ন রাখা হবে না। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আজকে দিলিস্নতে বসে ভাষণ দিয়ে মানুষকে উস্কানি দিচ্ছে। তা কোনোভাবেই ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।'