নতুন ভোটার প্রায় ৫০ লাখ

মৃত ১৫ লাখ বাদ

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৭ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য বাদ পড়া মিলিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ যাবেন- এমন ১৫ লাখের বেশি মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, 'সোমবার পর্যন্ত বাদ পড়াদের (অতীতে যারা ভোটার হতে পারেননি) মধ্যে ভোটার বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও নতুন ভোটার (যারা আগামী বছর ১ জানুয়ারি আঠারো বছর বা ভোটারযোগ্য হবেন) বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট ভোটার বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।' ইসির তথ্য অনুযাযী, চলমান ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচিতে ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৫ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যদিও লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখের ৮৯ হাজার ৩৭৫ জন। তথ্য সংগ্রহের পরিসংখ্যান বাদ পড়া ভোটার: ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৫১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪,৬৪,৩৮০ জন, নারী ১৬,৬২,৯৯২ জন এবং হিজড়া ১৪৭ জন। নতুন ভোটার: ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,৫৩,৩১২ জন; নারী ৮,৯৫,৭৭৬ জন এবং হিজড়া ২৩৮ জন। গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার তথ্য সংগ্রহ শেষে বুধবার শুরু হচ্ছে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এসময়েরে মধ্যে স্থানীয় নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন বাদপড়ারা। ছবি তোলার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণ করে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করার তথ্য থাকবে হালনাগাদে। ২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি। গত ২ জানুয়ারি গত বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। তাতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম। তাতে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। আগামী ২ মার্চ তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। এবার হালনাগাদে যারা যুক্ত হচ্ছেন, তাদের কাজ জুনের মধ্যে শেষ করতে চায় ইসি। সেক্ষেত্রে নতুনদের যোগ করে এবং মৃতদের বাদ দিয়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা জানা যাবে। ডিসেম্বরে ভোট হলে তথ্য সংগ্রহ করা অনেকেই ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। আর ২ জানুয়ারির পরে ভোট হলে নতুন করে যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের সবাই তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এদিকে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ১০ লাখ মৃত ভোটারের তথ্য মিলেছে, যারা বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। ২০২২ সালে হালনাগাদের সময় সর্বোচ্চ ২২ লাখ বেশি মৃত ভোটার বাদ যায়। এছাড়া রোববার পর্যন্ত এই হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটারযোগ্য ৩৫ লাখের মতো নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানান। ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটারযোগ্য যেসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার কাজ শুরু হবে বুধবার (৫ ফেব্রম্নয়ারি) থেকে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। ছবি তোলার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণ করে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তর করার তথ্য থাকবে হালনাগাদে। সোমবার রাতে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, 'রোববার পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে। ২.৫% থেকে ৩% পরিমাণ এ হালনাগাদে ভোটার হয়েছে। এরমধ্যে বাদ পড়া ২০ লাখের বেশি ও নতুন ভোটার ১৪ লাখের বেশি হতে পারে। আর মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১০ লাখের বেশি।' ইসির এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলেও কেউ বাদ পড়লে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ছবি তোলার কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা সবাইকে সচেতনও করতে পেরেছি। ভোটার হওয়া চলমান প্রক্রিয়া, নিবন্ধন কেন্দ্রে এসেও তথ্যাদি দিয়ে এ সুযোগ থাকবে। প্রায় ৪০ লাখের মতো আবেদন পাওয়া গেছে। মৃতদের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে ১০ লাখের বেশি, যারা বিদ্যমান ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।'##