উন্নত চিকিৎসার দাবি

ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে বিক্ষোভ জুলাই অভু্যত্থানে আহতদের

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর শ্যামলীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতরা -সংগৃহীত
উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জুলাই গণঅভু্যত্থানে আহতরা রাজধানীর শ্যামলীতে সড়ক অবরোধ করে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। আহতরা আট ঘণ্টা পর শ্যামলীর শিশুমেলা মোড় ছেড়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তারা বলছেন, ন্যায্য দাবিতে ২৪ ঘণ্টা রাস্তায় আন্দোলন করছি। তবে সড়ক অবরোধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হওয়ায় আমরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছি। তবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যেতে বাধা পেয়ে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন জুলাই গণ-অভু্যত্থানে আহত ব্যক্তিরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় আগারগাঁও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল) এবং জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। সেখানে সারা রাত থেকে পরে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্যামলী মিরপুর রোড অবরোধ করে স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবি জানান তারা। আহত মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা অসুস্থ মানুষ, তবু রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকারের জন্য সরকারের কাছে আকুতি-মিনতি করছি। এরপরও সরকারের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাচ্ছি না। এখন সরকার থেকে আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সার্ভিস (এমআইএস) বা যাচাই-বাছাই সার্টিফিকেট কপি দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছি। সেখানে আমরা একটা ফায়সালা চাই।' আহত তনয় বলেন, 'রাষ্ট্র কেন আমাদের অবহেলা করছে বুঝতে পারছি না। শনিবার রাত থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আমরা আন্দোলন করেছি। এরপরও সরকার থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এখন আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছি। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দেবো। আমরা আশা করি তিনি আমাদের কথা বিবেচনা করবেন। তিনি আমাদের রাস্তায় ফেলে রাখবেন না।' শেরে বাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, 'সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা ওই রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে। এরপর যান চলাচল শুরু হয়েছে।' বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতালের) সামনে থেকে সরে গিয়ে তারা ওই মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে দাবি আদায়ে নানা স্স্নোগান দেন তারা। ব্যস্ত মোড় অবরোধের কারণে মিরপুর রোডের উভয় দিকের পাশাপাশি শ্যামলী থেকে আগারগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিরপুর রোডের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা আসাদগেট থেকে গাবতলী-মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে মোহাম্মদপুরের ভেতর দিয়ে ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সে সময়। পরে রাত সাতটার দিকে আহতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা হন। আন্দোলনকারীদের একজন কুরবান শেখ হিলেস্নাল বলেন, 'মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে এজন্য রাস্তা ছেড়েছেন তারা। আহতরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।' প্রধান উপদেষ্টা তাদের ডেকে পাঠিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে কুরবান শেখ হিলেস্নাল বলেন, 'তিনি আমাদের ডাকেন নাই। সমন্বয়কদের কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি, কোথাও না কোথাও তো আমাদের যেতে হবে। আমরাও তো এই দেশের নাগরিক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা আহত হয়েছি।'