চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ব্যবসায়ীর

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজেকে এ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন কামাল হোসেন ওরফে চান্দু কামাল। তার মিথ্যা ও ভুয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জালাল আহম্মদ জসিম। শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি। লিখিত বক্তব্যে জালাল আহম্মদ জসিম জানান, তিনি ২০০৪ সাল থেকে গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে রিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তিনি নিউ মার্কেট থানা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। গত ৭ আগস্ট কিছু বহিরাগত লোক এসে বিভিন্ন দোকানে তালা দেয়। এর কিছুদিন পর কামাল হোসেন বেশকিছু বহিরাগত লোক সঙ্গে নিয়ে এসে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবী করেন। পরে কামাল তার ১৪টি দোকানের বিদু্যৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনায় তিনি নিউ মার্কেট থানা এবং সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। জালাল আহম্মেদের অভিযোগ, কামাল হোসেন তাকে মেরে ফেলতে তার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠায়। তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাসার দরজায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী লালবাগ থানায় একটি অভিযোগ দেন। গত বছরের ১৫ অক্টোবর কামালের পক্ষে মো. হোসেন মিথুন তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। এর এক মাস পর মিথুন মোবাইলে আরও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে অভিাযোগ দেন। পরে তারা চাঁদা নেয়ার কথা স্বীকার করে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। তবে সম্প্রতি তারা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তার মানসম্মান নষ্ট করছে।