বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

কুমিলস্নায় যৌথবাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর যুবদল নেতার মৃতু্য

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কুমিলস্নায় যৌথবাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর যুবদল নেতার মৃতু্য

কুমিলস্নায় যৌথ বাহিনী পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে যুবদল নেতার মৃতু্য হয়েছে। ওই যুবদল নেতার নাম তৌহিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের ইটালস্না গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ছিলেন।

ওই যুবদল নেতার ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবা গত ৪ দিন আগে মারা গেছেন। শুক্রবার ছিল কোরানখানি। আমরা শোকাহত। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি আমাদের বাড়ি আসে। এ সময় পোশাক ও সিভিলে থাকা কয়েকজন তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে রুম তলস্নাশি করেন। আমার ভাইয়ের কাছে অস্ত্র নেই আমরা বার বার তা বলার পরও তারা আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়।

সকাল থেকে আমরা থানায় ভাইয়ের খোঁজ নিয়েও পাইনি জানিয়ে তিনি বলেন, 'শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মোরশেদ মোবাইল ফোনে আমাদের জানায় শহরতলীর গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে আমার ভাইকে উদ্ধার করে কুমিলস্না মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু ম ১

তদন্ত দাবি করেন।

এস আই মোরশেদ বলেন, 'গোমতী পাড়ের ঝাকুনি পাড়ার গোমতী বিলাসে গিয়ে যখন তৌহিদকে গাড়িতে উঠাই তখনো তার প্রাণ ছিল। কিন্তু কুমেক হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু্য ঘোষণা করে।'

কুমিলস্নার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, 'সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে আমাদের ( পুলিশ) নিকট হস্তান্তর করার সময় সে অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃতু্য হয়। ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃতু্যর কারণ জানা যাবে। পরিবার থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ না পেলেও পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে কুমিলস্না দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক বলেন, 'যুবদল নেতা তৌহিদ তাদের দলের একজন সৎ ও নিবেদিত নেতা ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার ২ মেয়ে কোরআনের হাফেজ। সে অস্ত্রধারী হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তার মৃতু্যর বিষয়টি তদন্তের দাবী করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে