বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া করেছে বিএনপি

বিএনপি মনে করে, মুক্তিযুদ্ধই হবে বাংলাদেশের ভিত্তি। এরপরে আরও অনেক অর্জন রয়েছে। এগুলো রেখেই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে হবে
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া করেছে বিএনপি
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া করেছে বিএনপি

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করেছে বিএনপি। সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে এটা চূড়ান্ত করা হবে। বহুল আলোচিত এ ঘোষণাপত্রকে বিএনপি শুধু জুলাই ঘোষণাপত্র বললেও সরকার এটাকে জুলাই বিপস্নব ঘোষণাপত্র উলেস্নখ করেছিল। বিএনপির ঘোষণাপত্রে নূ্যনতম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে সাংবিধানিক সংস্কার করার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিগত দিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ত্যাগ এবং জুলাই গণঅভু্যত্থানের স্বীকৃতি রয়েছে খসড়া ঘোষণাপত্রে।

জানা গেছে, বিএনপির এই ঘোষণাপত্র সমমনা দল ও জোট ছাড়াও অন্যান্য দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে ওইসব দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে দলটি। সেখানে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এবং তাদের সম্মতিতে এটা চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপি নেতারা জানান, খসড়া ঘোষণাপত্র নিয়ে ছাত্রদের পক্ষ থেকে বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি বাতিলের ব্যাপারে যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি যুক্তিসঙ্গত নয়। বিএনপি মনে করে, মুক্তিযুদ্ধই হবে বাংলাদেশের ভিত্তি। এরপরে বাংলাদেশের আরও অনেক অর্জন রয়েছে। এগুলো রেখেই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে হবে। ইতোমধ্যে খসড়া ঘোষণাপত্র মোডিফাই (সংশোধন) করেছে দলটি। ছাত্রদের খসড়া ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে ধরে নেয়া হবে। তবে এটা এভাবে দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে

মনে করে না বিএনপি।

দলটির অভিমত, এটা অপ্রয়োজনীয়। এটাকে ডিক্লারেশন আকারে দিতে হবে। আর যখন এটা নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হবে, তখন এটা ঘোষিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে ছাত্ররা এটাকে যে ব্যাকডেটেড প্রক্লেমেশন আকারে দেওয়ার যে কথা বলছে, সেভাবে দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করছে না বিএনপি। তবে বিএনপির খসড়া ঘোষণাপত্রে গণঅভু্যত্থানে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমর্থনের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।

ছাত্র জনতার অভু্যত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটে। অভু্যত্থানের সূত্রপাত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণাপত্রের দাবিতে প্রথম সোচ্চার হয়। ছাত্র নেতৃত্বের রাজনৈতিক পস্ন্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটিও একই দাবি তোলে। অভু্যত্থানের ছাত্র নেতারা ২৮ ডিসেম্বর একযোগে ঘোষণা দেন বছরের শেষ দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষণা পত্র এবং ৩১ ডিসেম্বরের সমাবেশ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করে। ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি প্রশ্ন তোলে। সংবিধান বাতিলের ঘোর বিরোধিতা করে।

সেই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছিল, এর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে একদিন পরেই জানায় সরকার সহযোগিতা করবে। ৩০ ডিসেম্বর ছিল নাটকীয়তা পূর্ণ। সেই রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, অন্তর্র্ব‌তী সরকার জাতীয় ঐকমত্যে ঘোষণাপত্র তৈরির করবে।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিএনপির তীব্র আপত্তিতে সরকার এ অবস্থান নিতে হয়েছিল। অভু্যত্থানে অংশ নেওয়া দল এবং সংগঠনগুলোকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে ফিরিয়ে উত্তেজনা কমাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও ভূমিকা ছিল।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে 'মার্চ ফর ইউনিটি' কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তা থেকে ঘোষণাপত্র প্রকাশে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। এ দাবির পক্ষে জনমত গঠনে প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ করছে ছাত্র নেতৃত্ব।

৯ জানুয়ারি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছিলেন, ঘোষণাপত্র তৈরিতে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হবে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ না-ও হতে পারে। কয়েক দিন বেশি লাগতে পারে। তবে খুব বেশি দেরিও হবে না। জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা থাকলেও, সরকারের করা খসড়ায় তা নেই।

জানা গেছে, সমমনা দল ও জোটের মতামত ছাড়া এই খসড়া প্রকাশ করা হবে না। এ বিষয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খসড়ার শেসাংশে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী নিম্নোক্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসমূহ এই ঘোষণাপত্র ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করছি।'

ঘোষণাপত্র যা আছে

জুলাই ঘোষণাপত্রকে বিএনপি 'জাতীয় ঐকমত্যের রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র' উলেস্নখ করে শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। ভিন্নদিকে ছাত্রদের ঘোষণপত্রে সাতচলিস্নশে ঔপনেবেশিক শাসন থেকে মুক্তি থেকে শুরু করে একাত্তরে জনযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এবং পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা রয়েছে।

বিএনপির খসড়ায় বলা হয়েছে- এই ভূখন্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নিবিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ খিষ্টাব্দের ২৬শে মার্চ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। বাংলাদেশের আপামর জনগণ ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখন্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।

তবে দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদি, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলশ্রম্নতিতে একব্যক্তির একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়; জবরদস্তিমূলক একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবৈধ আওয়ামী সরকার দুঃশাসন, গুম, খুন, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকান্ড সাধন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে এবং সকল রাষ্ট্রীয় কিংবা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস সাধন করে।

খসড়ায় বলা হয়- ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যথ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে। বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারির বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে তল্পিবাহক আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে। ধারাবাহিক তিনটি নির্বাচনী প্রহসনের মধ্য দিয়ে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকরি প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলশ্রম্নতিতে সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে ছাত্র- জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ নজিরবিহীন গণ-অভু্যত্থানে রূপ নেয়। গণ-অভু্যত্থান চলাকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রণীত নয় দফা দমনে ফ্যাসিস্ট সরকার চরম নির্মমতার আশ্রয় নেয় এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে, কারফিউ জারি করে এবং বস্নকরেইড করে ছাত্র- জনতার আন্দোলনকে গুড়িয়ে দেয়ার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে এবং ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে এই অদম্য ছাত্র আন্দোলনে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং রাজপথে নারী-শিশুসহ দুই সহস্রাধিক মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়; অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে।

আওয়ামী সরকারের পতনের বিষয়ে বলা হয়- ফ্যাসিবাদের পতনের নিমিত্তে ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণি, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরবর্তিতে অবৈধ সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে উচ্চ আদালতের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট একটি অন্তর্র্ব‌তীকালীন সরকার গঠন করে।

বিএনপির খসড়ায় বলা হয়, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙক্ষা এবং ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়। সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদি শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যয় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে বাংলাদেশের জনগণ।

আওয়ামী লীগের বিচারের প্রসঙ্গে খসড়ায় বলা হয়- বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম এবং জুলাই গণ-অভু্যত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সংঘঠিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরণের নির্যাতন, নিপীড়নের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রম্নত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে বাংলাদেশের জনগণ।

সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে ঘোষণাপত্রে বলা হয়- নূ্যনতম সময়ে আয়োজিতব্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা, অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে বাংলাদেশের জনগণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে