যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী পেস্নন ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় পেস্ননটিতে ৬৪ জন এবং হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি বস্ন্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী পেস্ননের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর পেস্নন-হেলিকপ্টার উভয়েই পোটোমাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
সিবিএস নিউজের খবর অনুসারে, আমেরিকান এয়ারলাইনস নিশ্চিত করেছে, পেস্ননটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। আর মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন তিনজন সৈন্য। মার্কিন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত হেলিকপ্টারটি ছিল ইউএইচ-৬০ মডেলের।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে খুব কম তথ্য পাচ্ছেন। এক নারী কান্না করতে করতে বলেন, আমি জানি না সে সেখানে (পেস্ননে) উঠেছে কি না।
হামাদ রাজা নামে এক ব্যক্তি চ্যানেল ওয়াসিএ'র কাছে বলেন, আমি রিগান বিমানবন্দরে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সে আমাকে টেক্সট করেছে যে, ২০ মিনিটের মধ্যে অবতরণ করবে। আমার বাকি টেক্সট... ডেলিভারি হয়নি। তখন আমি বুঝতে পারলাম, কিছু একটা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারের একটি ওয়েব ক্যামেরায় মাঝ আকাশে একটি বিস্ফোরণ হতে দেখা গেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের সিইও রবার্ট আইসাম বলেন, আমরা জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের তদন্তে সহযোগিতা করছি এবং যতটুকু সম্ভব তথ্য প্রদান করতে প্রস্তুত আছি।
পুলিশ জানিয়েছে, পোটোমাক নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে একাধিক সংস্থা কাজ করছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কারণে সব উড্ডয়ন এবং অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
২০০৯ সালের ফেব্রম্নয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে কোনো মারাত্মক পেস্নন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি কাছাকাছি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সৈন্য ছিলেন।
হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না করা গেলেও আমেরিকায় বিবিসির পার্টনার সিবিএস নিউজকে পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা।
ওয়াশিংটন ডিসির জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়েছে। এফএএ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আমেরিকান ঈগল ফ্লাইট ৫৩৪২, যা উইচিটা, কানসাস থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। এটি পিএসএ এয়ারলাইন্স দ্বারা পরিচালিত একটি সিআরজে-৭০০ মডেলের বিমান ছিল।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। আর হেলিকপ্টারটি পেস্ননের কাছেই পানিতে উল্টে ছিল।
সিবিএস জানায়, দুর্ঘটনায় জড়িত সামরিক হেলিকপ্টারটি ছিল একটি ইউএস আর্মির বস্ন্যাক হক হেলিকপ্টার, যেটি মূলত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হেলিকপ্টারটিতে কোনো উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
রাতের বেলা ওয়াশিংটন ডিসি এবং এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামতে পারে বলে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস পূর্বাভাস দিয়েছে, যা উদ্ধার কাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তাপমাত্রা মাইনাস এক থেকে মাইনাস দুই পর্যন্ত পূর্বাভাস দিয়েছে এবং গত সপ্তাহখানেক ধরে নদীর বিভিন্ন অংশে বরফ জমতে দেখা গেছে।
ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের অভিষেকের অনুষ্ঠানই কিছুদিন আগে বাইরের বদলে ক্যাপিটলের ভেতরে করা হয়েছিল ঠান্ডার কারণে। সেখানে রাতের বেলা আলো না থাকায় এতটা ঠান্ডার মাঝে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হলে পারে বলে জানানো হচ্ছে। উদ্ধারকাজ রাতভর চলবে বলে জানানো হচ্ছে। অন্তত ৩০০ উদ্ধারকর্মী নদীজুড়ে তলস্নাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।
রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সেখানে সমস্ত ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিমানগুলোকে ২৮ মাইল দূরের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী অরি শুলম্যান বলেছেন, তিনি আকাশে 'বিশাল আতশবাজির' মতো এক ধরনের ্তুস্ফুলিঙ্গ্থ দেখতে পেয়েছেন। সেসময় তিনি বিমানবন্দরের পাশেই জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়েতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শুলম্যান বলেন, তিনি প্রায়ই সেখানে বিমান অবতরণ করতে দেখেন, তাই প্রথমে কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়নি। তিনি বলেন, 'সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, বিমানটি ঠিকঠাক এগিয়ে আসছিল।'
তবে, এরপর হঠাৎ করে তিনি দেখেন, বিমানটি ডানদিকে প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে কাত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, 'আমি বিমানের নিচের অংশ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম, যা এত অন্ধকারে দেখা যাওয়ার কথা নয়।' তিনি বিমানটির নিচে উজ্জ্বল হলুদ আলো এবং সামনের দিক থেকে পেছন পর্যন্ত স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান - যা অনেকটা আতশবাজির মতো। কিন্তু বিস্ফোরণের শব্দ না পাওয়ায়, আর আগুনের গোলা বা দুর্ঘটনার অন্য কোনো লক্ষণ না দেখায় তিনি রাস্তার দিকে মনোযোগ দেন।
তিনি বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম, আমি কি ভুল দেখলাম? এত বড় দুর্ঘটনার পর কেন কিছুই দেখতে পেলাম না? তবে কিছুক্ষণ পর যখন তিনি সামনে এগিয়ে যান, তখন দেখতে পান, চারদিকে জরুরি উদ্ধারকর্মীদের ভিড় জমে গেছে।' আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শীও তারার আলোকচ্ছটার মতো সাদা আলো দেখেছেন আকাশে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের আইনপ্রণেতারা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে একটি 'ভয়ংকর দুর্ঘটনা' বলে বর্ণনা করেছেন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর 'অসাধারণ কাজের' জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রম্নথে এ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, 'বিমানটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও সঠিক পথে বিমানবন্দরের দিকে আসছিল। হেলিকপ্টারটি দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি বিমানের দিকে আসছিল। রাত ছিল পরিষ্কার, আর বিমানের স্পষ্টভাবে আলো জ্বলছিল।'
তিনি পোস্টে লেখেন, 'কেন হেলিকপ্টারটি উপরে বা নিচে গেল না, বা মোড় নিল না? কেন কন্ট্রোল টাওয়ার হেলিকপ্টারকে নির্দেশ না দিয়ে শুধু জিজ্ঞাসা করল, তারা কি বিমানটিকে দেখতে পাচ্ছে?'
তার মতে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সহায়তা দেবে।
নতুন পরিবহণ সচিব শন ডাফি বলেছেন, তিনি এফএএ-এর সদর দপ্তরে থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথভাবে দুর্ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী রবার্ট ইসম বলেছেন, দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব কিছু করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরটি আমেরিকার অত্যন্ত ব্যস্ত একটি বিমানবন্দর যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার বিমান চলাচল করে। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর মতো প্রযুক্তিগত অনেক কিছুই আধুনিক বিমান ব্যবস্থায় থাকে। তারপরেও আবহাওয়ার কোনও বাড়তি জটিলতা ছাড়াই এমন দুর্ঘটনা অনেককে বিস্মিত করেছে।
২০০১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ সব উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২১
গত দুদশকের বেশি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
গত দুদশকের বেশি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি আঞ্চলিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ যত বিমান দুর্ঘটনা
মার্কিন জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড এবং ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশনের এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের পরিসংখ্যান থেকে একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স:
২০০৯:নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় কোলগান এয়ারের একটি টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ (টার্বাইন ইঞ্জিন চালিত)। এতে উড়োজাহাজে থাকা ৪৯ জনের সবাই ও ভূমিতে থাকা এক ব্যক্তি নিহত হন।
২০০৬:কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লেক্সিংটন শহরে উড্ডয়নের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় কোমেয়ার এয়ারলাইনের একটি আঞ্চলিক জেট। সময়মতো উড্ডয়নে ব্যর্থ হয়ে এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে উড়োজাহাজে থাকা ৫০ জনের মধ্যে ৪৯ জনই নিহত হন।
২০০৫:ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহর থেকে উড্ডয়নের পর বিধ্বস্ত হয় চক'স ওশান এয়ারওয়েজের একটি টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ। এই দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজে থাকা ২০ জনের সবাই প্রাণ হারান।
২০০৪:মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কার্কসভিল শহরে অবতরণের সময় কর্পোরেট এয়ারলাইন্সের একটি টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৫ আরোহীর মধ্যে ১৩ জন নিহত হন।
২০০৩:ইউএস এয়ারওয়েজ এক্সপ্রেসের একটি টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজ নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহর থেকে উড্ডয়নের পর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ২১ আরোহীর সবাই নিহত হন।
নভেম্বর ২০০১:নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ভূমিতে থাকা পাঁচ ব্যক্তিসহ উড়োজাহাজের ২৬০ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।
১১ সেপ্টেম্বর ২০০১:বোস্টন থেকে ছেড়ে যাওয়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে। এতে বিমানে থাকা ৯২ জনসহ ভূমিতে প্রায় এক হাজার ৬০০ জন নিহত হন।
একই দিনে বোস্টন থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানলে ৬৫ আরোহীর সবাই এবং ভূমিতে থাকা ৯০০ জন নিহত হন।
ওয়াশিংটন-ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ মার্কিন গোয়েন্দা অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগনে আঘাত হানলে বিমানে থাকা ৬৪ জন ও মাটিতে থাকা ১২৫ জন নিহত হন।
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের নিউয়ার্ক থেকে ছেড়ে আসা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হলে বিমানের ৪৪ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।##