বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
যুব এশিয়া কাপ

পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের যুবারা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছেন তারা।

বেশির ভাগ কাজ করে দিলেন বোলাররাই। প্রতিপক্ষকে আটকে রাখলেন অল্পতে। বল হাতে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিলেন মারুফ মৃধা। পরে ইকবাল হোসেন ইমনের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে উইকেটে ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। লক্ষ্যটা রইল হাতের নাগালেই। ওই রান তাড়া করতে নেমে কিছুটা চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম ও শিহাব জেমসের জুটিতে সেটি সামলে নেয় তারা, পায় জয়।

শুক্রবার দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভার ব্যাট করে ১১৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। রান তাড়ায় নেমে ২২ ওভার ১ বল খেলেই জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

গতকাল শ্রীলঙ্কাকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেছে ভারত। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে

লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারতীয় যুবারা। আগামী ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলটির দুই ওপেনারকেই শূন্য রানে ফেরান পেসার মারুফ মৃধা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উসমান খান ক্যাচ দেন চার বলে শূন্য রান করে। নিজের পরের ওভারে এসে তিন বলে শূন্য রান করা শাহজিব খানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মারুফ।

৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুহাম্মদ রিয়াজউলস্নাহ ও অধিনায়ক সাইদ বেগ। ইকবাল হোসেন ইমনের বলে মারুফ মৃধার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাইদ, ভাঙে ৪২ রানের জুটি। ৬৫ বলে ২৮ রান করা রিয়াজউলস্নাহকেও আউট করেন ইমন।

জুটি গড়া দুই ব্যাটার আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। একপ্রান্তে কিছুটা লড়াই করেন ফারহান ইউসুফ। ৩২ বলে ৩২ রান করে দেবাশীষের বলে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন ইকবাল হোসেন ইমন। মারুফ দুই ও আল ফাহাদ, দেবাশীষ দেবা পান একটি করে উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশও। ১৪ বল খেলেও কোনো রান না করেই ফিরে যান কালাম সিদ্দিকী। এরপর আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২৫ বলে ১৭ রান করে আব্দুল সোবহানের বলে ক্যাচ দেন। ২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চাপ কিছুটা বাড়ে বাংলাদেশের জন্যও। তবে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও শিহাব জেমসের জুটিতে সেটি কাটিয়ে ওঠে তারা।

দুজনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে ৩৬ বলে ২৬ রান করে নাভিদ আহমেদের বলে শিহাব আউট হলে। তবে ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটাই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তামিম। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে