৭ বছরের দন্ড থেকে খালাস পেলেন আমান-মামুন
প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদন্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলস্নাহ আমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া।
এর আগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পূর্ব আগানগরের রফিকুল
আলম নামে এক ব্যক্তি চাঁদাবাজির অভিযোগে এ মামলা করেন।
মামলায় ২০০৪ সালের ২৬ জুনের এক ঘটনায় ২০০৫ সালে দুই পর্বে ৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ৮ মে সাত বছরের কারাদন্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন আমান। তার আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আপিল মঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
খালাস পেলেন মামুন
এদিকে, অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
বিচারিক আদালতের রায় বাতিল হওয়ায় এই মামলায় মামুন খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী।
ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক। রায়ে মামুনকে ৭ বছর কারাদন্ড এবং ১২ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ ছাড়া লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন মামুন। এই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়।
আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
পরে আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে দন্ড হওয়া তিনটি মামলায় মামুন খালাস পেলেন। আরও তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে দন্ড রয়েছে। জামিনে মামুন গত ৬ আগস্ট মুক্তি পেয়েছেন।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগের ভাষ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান বিটিএল ও গেস্নাব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী। কিন্তু কাজের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পর মামুন তার কাছে অবৈধভাবে টাকা দাবি করেন। এরপর হুমকি দিয়ে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা নেন মামুন। পরে ওই টাকা লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন তিনি।
মামলা করার পর ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর আগে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন মামুন।