কোনো মামলায় নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয় :আইজিপি

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাহারুল আলম
আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচু্যতির পর অনেক মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন জায়গায় মামলা নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে উলেস্নখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, 'মামলায় নাম থাকলেই পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করা যাবে না।' বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নতুন আইজিপি। তিনি বলেন, নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে; ৫ আগস্ট ঘিরে এসব হচ্ছে। পাইকারি হারে গ্রেফতার করা যাবে না। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা পুলিশের কাজ না। যদি মামলার আসামি করা হয়, তাকে ধাওয়া করে গ্রেফতারে যাবো না। জনগণের সঙ্গে পুলিশকে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। আইজিপি বলেন, 'পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে।' ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া প্রত্যেকের পরিবারের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে আইজিপি বলেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রম্নত সুস্থতা কামনা করছেন তিনি। এই আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বার্থরক্ষায় পুলিশের কিছু কর্মকর্তা বাড়াবাড়ি ও আইনভঙ্গ করেছেন। অনেক নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। আইজিপি পদে বাহারুল আলমের নিয়োগের বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন ২১ নভেম্বর সকালে তিনি আইজিপির দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বৃহস্পতিবার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। বাহারুল আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। পুলিশের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে হয়েছে। তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সহযোগিতায় এবং সরকারের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন তিনি। দেশের জনগণের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দুরূহ। এ বিষয়ে তিনি সবিনয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন। পুলিশপ্রধান বলেন, আইনি সেবা প্রত্যাশী জনগণের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ কাজ করবে, তলস্নাশি চালাবে। অন্তর্র্বর্তী সরকার পুলিশ সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে উলেস্নখ করেন বাহারুল আলম। তিনি বলেন, 'পুলিশ সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে এই বাহিনী প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।'