তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ আবেদনের শুনানি ১৯ জানুয়ারি
প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) করা তিনটি আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আগস্টে পটপরিবর্তনের পর ২৫ আগস্ট প্রথমে এই রিভিউ আবেদন করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন। পরে ১৬ অক্টোবর আরেকটি রিভিউ আবেদন করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সবশেষ ২৩ অক্টোবর আরেকটি রিভিউ আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই তিনটি আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে হবে।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে এম সলিমউলস্নাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এই রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্ববাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউলস্নাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।
এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।