জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন রোববার এই রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন। এ নিয়ে দুর্নীত দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলা থেকে খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৯ জুন খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলা তদন্ত করে ২০০৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলায় ২০ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তার মক্কেলকে মামলা থেকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২৮ নভেম্বর দুদকের আরেক মামলা থেকে খালাস পান খন্দকার মোশাররফ হোসেন। একই মামলা থেকে খালাস পান তার ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান। এ মামলায় সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
এর আগে চলতি বছরের ২২ আগস্ট দুদকের করা মানি লন্ডারিং মামলা থেকে খালাস পান খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই মামলায় প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।