নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, 'জাহাজ নির্মাণকাজে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এখন এ খাতের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।'
শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগরে থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে বিআইডবিস্নউটিসির বিভিন্ন ধরনের নৌযানের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এম সাখাওয়াত বলেন, 'এই শিপইয়ার্ডে আমাদের ১৮টি নৌযানের নির্মাণকাজ চলছে। আমি এসেছিলাম সর্বশেষ কী অবস্থা তা দেখার জন্য। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আগামী বছরের মার্চ থেকে আমরা নৌযানগুলো বুঝে পাব। ডিসেম্বর মাস নাগাদ সব নৌযান বুঝিয়ে দেওয়ার দরকার।'
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুমহাল বন্ধে তার হস্তক্ষেপ কামনা করলে তিনি বলেন, 'আমার মন্ত্রণালয় শুধু হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের কাজ করে। বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। অবৈধ বালুমহালের ব্যাপারে আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।'
থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, 'আগামী বছরের মার্চ থেকে আমি নৌযানগুলো বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করব। নয় মাসে পর্যায়ক্রমে ৬টি ফেরি, ২টি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট, ২টি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার, ৪টি কোস্টাল সি-ট্রাক, ৩টি মডার্ন ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও ১টি ইনস্পেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডবিস্নউটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক, বিআইডবিস্নউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডবিস্নউটিসির প্রকল্প ও প্রধান প্রকৌশলী পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ প্রমুখ।