মোলস্না কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর
তিন কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী-ডেমরা
শতাধিক আহত সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত ছাত্রবেশে পরিকল্পিত হামলা :পুলিশ ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় লোকজনও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল, ন্যাশনাল মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় মোলস্না কলেজের তিন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার দাবি উঠলেও পরে সেখান থেকে সরে এসে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি নিহত হওয়ার বিষয়টি অপপ্রচার বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এদিকে, ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে এক দিনের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে চা-পান করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃতু্যর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। পূর্ব ঘোষিত সেই 'সুপার সানডে' কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ও পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মোলস্না কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওই সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। গন্ডগোলের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ওই হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার 'মেগা মানডে' কর্মসূচির ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রওনা হন ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মোলস্না কলেজে।
মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাতুল সরকার বলেন, 'ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছিল তারা, এটা সবাই জানে। তারা হামলা করলে আমরা পুলিশকে আসতে বলি ৯৯৯ এ কল দিয়ে। পুলিশ এসেছে অনেক পরে। সেনাবাহিনীও আড়াইটার পরে আসে। অল্প কয়েকজন পুলিশ ছিল প্রথমে। তারা হামলার শুরুতে দূরে সরে যায়। সেনাবাহিনী, পুলিশ আগে আসলে কোনো ক্ষতি হতো না।'
হামলায় মূল সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দশমতলা উঁচু ভবনের সামনের অংশের কাঁচ ভেঙে দেয়। আর পেছনের তিনটি ভবনের বেশিরভাগ কক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; বেঞ্চ, সিলিং ফ্যান, সিসি ক্যামেরা, চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে অধ্যক্ষের অফিস, ল্যাবরেটরি ও ল্যাবও আছে।
মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার কিলোমিটার দূরের সানারপাড় রওশন আরা কলেজ থেকে আসেন শিক্ষার্থী সাকিব হাওলাদার।
তিনি বলেন, 'আমাদের ফেসবুক গ্রম্নপ আছে কলেজের ছাত্রদের নিয়ে। সেখানেই রোববার রাতে ঘোষণা করা হয়েছিল আজকে (সোমবার) এই কলেজে হামলা হবে।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি
\হবলেন, 'প্রথম দফার হামলায় আমরা কম ছিলাম। তারা তো শত শত ছিল। কয়েক হাজারের মতো। পুলিশও চলে গিয়েছিল। পড়ে আমরা এলাকাবাসীদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা করলে চলে যায়। তাদের সঙ্গে বাইরের লোকও (অছাত্র) ছিল।'
তবে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, 'রোববার মোলস্না কলেজের নেতৃত্বে ঢাকার বেশ কয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম এ ঘটনার সুষ্ঠু একটা সমাধান করার জন্য। কিন্তু আমাদের দেওয়া সময়ের ভেতর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তাই আজ (সোমবার) সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সেখানে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'
তুহিনের ভাষ্য, 'আমাদের কিছু শিক্ষার্থী তাদের ধাওয়া করে মোলস্না কলেজের দ্বিতীয় তলায় উঠলে তারা আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। রুমের ভেতর তাদের ওপর নারকীয় তান্ডব চালায়।'
সোহরাওয়ার্দী কলেজের আরেক শিক্ষার্থী ফাহিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি নিয়ে সেখানে গেলে, তাদের পোলাপান প্রস্তুত ছিল আমাদের ওপর হামলা করার জন্য। আমদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী সেখানে অবরুদ্ধ হলে আহতদের নিয়ে আমরা ক্যাম্পাসে চলে আসি। তাদের মধ্যে যারা গুরুতর আহত তাদের ঢাকা মেডিকেলে আর বাকিদের ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।'
মোলস্না কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল হাই শিকদার বলেন, 'হামলা করতে আসারা তো অনেক বড়। কারও কারও আইডি কার্ড ছিল গলায়। বাকিদের ছিল না। তারা হামলায় করে আমাদের কলেজ ভাঙছে। কিছু রাখেনি। উপর থেকে ফেলে দিয়েছে সব।'
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সেনাবাহিনী মাইকে ঘোষণা দেয় পথচারী ও এলাকাবাসীদের চলে যেতে অনুরোধ করে। এ সময় সেনাবাহিনীর গাড়িকে অনুসরণ করে ছোট ছোট যান চলাচল করতে দেখা যায়।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এদিন সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর ও ডেমরা এলাকায় 'পর্যাপ্ত জনবল' মোতায়েন করা হয়। তারা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এরপরও উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজের দিকে অগ্রসর হয়ে সেখানে হামলা চালায়। সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ এবং মোলস্না কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।'
যাত্রাবাড়ীর কলেজে ছাত্রবেশে
পরিকল্পিত হামলা : পুলিশ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ছালেহ উদ্দিন। রোববার বিকাল ৪টার দিকে কলেজের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এই আশ্বাস দেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা ছালেহ উদ্দিন বলেন, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা ছাত্রবেশে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে এই হামলা ও কোটি টাকার মালামাল লুটপাট হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে, মামলা হবে।
এই হামলা ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে দাবি করে পুলিশের উপ-কমিশনার ছালেহ উদ্দিন বলেন, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকা দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আসার সময় হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু হামলাকারীরা সেটি তোয়াক্কা না করে একত্র হয়ে হামলা করেছে, ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করেছে। এই হামলায় স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত।
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
এদিকে, তিন কলেজের ওই সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষের স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। তবে স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া পূর্ব ঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজে গিয়ে হামলা এবং রক্তক্ষয়ী সংর্ষের পর পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে এক দিনের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আগামীকাল (সোমবার) কলেজের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের ওয়েবসাইটে ক্লাস বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল তারিখ ২৬/১১/২০২৪ কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকবে।'
৮ হাজার শিক্ষার্থীর
বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে, ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সোমবার আদালতে আসে। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এজাহার গ্রহণ করে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্রাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ দাস এ তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ড. মাহবুবুর রহমান মোলস্না কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭-৮ হাজার শিক্ষার্থী ২৪ নভেম্বর রোববার বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। তারা সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত সাঁজোয়া যান বা এপিসি (আর্মার পার্সনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে।
এ ছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উলেস্নখ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার
আহ্বান সরকারের
এদিকে, সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
এসব সংঘাতের পেছনে কোনো ধরনের ইন্ধন থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, 'সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সেদিকে সরকার নজর রাখছে। আমরা ছাত্রছাত্রীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। '