বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
অবশেষে গ্রেপ্তার

যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন

শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ
চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় অস্ত্র হাতে যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ -ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আন্দোলন চলাকালে তৌহিদুল একাই ছাত্র-জনতার ওপর ২৮টি গুলি ছোড়েন।

শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার তৌহিদ চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

শনিবার দুপুরে নগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে।'

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'গ্রেপ্তার তৌহিদুল চান্দগাঁওয়ের শমশেরপাড়া এলাকার মো. সেকান্দরের ছেলে। তিনি একজন পেশাদার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। ছাত্র আন্দোলনে তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি একটি পাকিস্তানি শুটারগান। এছাড়া তার কাছে একাধিক

অস্ত্র রয়েছে। যা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।'

নগরীর চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বলেন, 'ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৌহিদুল একটি শাটার গান নিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। গত ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় তৌহিদুল একাই ২৮টি গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনায় ব্যবহৃত হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ২

অস্ত্রটি উদ্ধারে অভিযান চলছে।'

\হবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে গুলিতে নিহত হন ১০ জন। আহত হন শতাধিক। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্বজনরা নগরের বিভিন্ন থানা ও আদালতে

\হঅন্তত ২৫টিরও বেশি মামলা করেছেন। এসব মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্রধারীদের মধ্যে চারজনকে র?্যাব এবং একজনকে নগর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। সর্বশেষ তৌহিদুলসহ মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করে নগর পুলিশ। তবে কারও কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।

ফরিদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে আনতে আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে