গণ-অভু্যত্থানে আহতদের আজীবন ফ্রি চিকিৎসা
প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
জুলাই-আগস্টের গণ-অভু্যত্থানে আহতদের যাচাই-বাছাই করে একটি ইউনিক কার্ড দেওয়া হবে। যা দিয়ে দেশের যে কোনো সরকারি ও চুক্তিবদ্ধ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসাসেবা পাবেন। একই সঙ্গে আন্দোলনে আহতদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া শহীদ ও আহতদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর বিএসএল ভবনের সামনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আহত যোদ্ধাদের ইউনিক আইডি কার্ড থাকবে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তারা সারাজীবন বিনামূল্যে সেবা পাবেন। যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সরকারি চুক্তি থাকবে, সেখানেও বিনামূল্যে সেবা পাবেন তারা। পরে যার মূল্য সরকার পরিশোধ করবে। কোথাও লাইনে দাঁড়াতে হলে এই কার্ডধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। সব হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার থাকবে। সেখান থেকে সব ধরনের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি মাল্টিডিসিপিস্ননারি হাসপাতাল করা হবে। বিএসএমএমইউ হাসপাতালের (পিজি হাসপাতাল) কেবিন বস্নক এবং সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের আউটডোর মিলে এ ধরনের চিকিৎসাসেবা প্রদানের একটি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। যেটি
গণমাধ্যমে অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে আহতদের দ্বারা ব্যবহার বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসায় সব সরকারি হাসপাতালে বেড ডেডিকেটেড থাকবে। ঢাকার সব হাসপাতালকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। হাসপাতালে কতটা শয্যা খালি আছে, কতটায় রোগী আছে- তার একটি ড্যাশবোর্ডও থাকবে। একটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত তথ্য হালনাগাদ করা হবে।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী মধ্যে যাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো প্রয়োজন, তাদের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে মন্ত্রণালয় বিদেশ পাঠাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন, তালিকা প্রণয়ন ও কার্যক্রম এখনো অব্যাহত। শহীদ পরিবার যারা রয়েছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। যারা আহত রয়েছেন, তাদের তথ্য ভেরিফাই করা একটু কষ্টকর। আমরা নভেম্বরের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ শেষ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করব।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভু্যত্থানে শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহয়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের ধরন অনুসারে আর্থিক সহায়তা এক লাখ থেকে তিন লাখা টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এ ছাড়া সরকারি চিকিৎসার আওতায় আসার আগে ব্যক্তিগতভাবে যে টাকা খরচ হয়েছে, সেটা যাচাই-বাছাই করে সবাইকে দেওয়া হবে।