সরকারি স্কুলে ভর্তি
এক লাখ আসনে আড়াই লাখ আবেদন
প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দেশের ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য পাঁচ দিনেই আসন সংখ্যার আড়াইগুণ আবেদন জমা পড়েছে। এসব স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে এবার। এর বিপরীতে রোববার রাত পর্যন্ত আবেদন করেছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী। তারা মোট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি পছন্দ দিয়েছে।
অপরদিকে মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের বেসরকারি ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। তারা পছন্দ দিয়েছেন মোট ২ লাখ ২৩২টি।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১১ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ চলছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ৩০ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
ঢাকা মহানগর পর্যায়ের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের স্কুল নির্ধারিত হবে।
উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলো স্থানীয় ভর্তি কমিটির অনুমোদন নিয়ে সরাসরি লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। তাদের জন্য অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন পড়বে না।
যঃঃঢ়ং://মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ/ লিংকে ১১০ টাকা ফি দিয়ে স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হচ্ছে।
আবেদনের সময় সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে মহানগর এলাকা ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রম নির্বাচন করতে পারবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হতে হবে।
তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ বয়স সাত বছর হলেও আবেদন করা যাবে।
যেমন- ২০২৫ সালে কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সময় তার জন্ম তারিখ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে হলে ভর্তির আবেদন করা যাবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
তবে শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে কাছের সরকারি বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে কাছের সরকারি বালক বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
শিক্ষক যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন, তাহলে তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে কাছের বালক-বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
বেসরকারি স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশের মহানগরী, মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সন্তানদের ভর্তির নূ্যনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে পোষ্য বা আত্মীয়স্বজন বা ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য আসন সংরক্ষণ থাকবে না।