সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) শনিবার ভোর ৪-৪৫ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার বাদে জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের প্রথম এবং বাদ এশা তার গ্রামের বাড়ি পটিয়া পৌর সদরের সুচক্রদন্ডিস্থ সাহিত্য বিশারদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদন্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর।
ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল' হন। ১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি করিম ১৯৮২-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন। তার ইন্তেকালের খবরে পটিয়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
তার মৃতু্যতে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি আশীষ কুমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুর মিয়া, পটিয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএমএকে জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। তারা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।