বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ :হাইকোর্ট

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ :হাইকোর্ট
কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ :হাইকোর্ট

বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (কুইক রেন্টাল) সংক্রান্ত আইনের দায়মুক্তির সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (কুইক রেন্টাল) সংক্রান্ত আইনের দায়মুক্তি ও ক্রয়সংক্রান্ত দুটি ধারা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদু্যৎ সংকট দ্রম্নত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রম্নত ভাড়াভিত্তিক বিদু্যৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদু্যৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

এসব ভাড়াভিত্তিক বিদু্যৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় 'বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন।' শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

আইনের 'পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের প্রচার' সংক্রান্ত ৬(২) ধারা ও 'আদালত ইত্যাদির এখতিয়ার রহিত করা' সংক্রান্ত ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রিট মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তায়ি্যব-উল-ইসলাম। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক।

আইনটির ৬(২) ধারায় বলা হয়েছে, 'বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের

দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণক্রমে যে কোনো ক্রয়, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বা প্রস্তাব ধারা ৫-এ বর্ণিত প্রক্রিয়াকরণ কমিটি সীমিতসংখ্যক অথবা একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ ও দরকষাকষির মাধ্যমে উক্ত কাজের জন্য মনোনীত করিয়া ধারা ৭-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণে অর্থনৈতিক বিষয় বা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।'

এছাড়া ৯ ধারায় বলা হয়েছে, 'এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলে বিবেচিত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে