শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস

অর্থনীতিতে স্বস্তি, বাজারে অস্বস্তি

সাখাওয়াত হোসেন
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্র্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্তি হচ্ছে আজ। এ স্বল্পসময়ে সরকার জনগণের আকাশসম প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও দেশের স্থবির অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লাগায় বেড়েছে রিজার্ভ; কমে এসেছে ডলার সংকট। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনপ্রশাসন, শিক্ষাঙ্গন, পরিবহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানাসহ সর্বত্র শুরু হওয়া বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্যে লাগাম টেনে ধরতেও সক্ষম হয়েছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরোপুরি দূর না হলে স্থবিরতা কাটিয়ে দেশ ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয়েছে নির্বাচনী অভিযাত্রা। রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমও জোর পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।

তবে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারেনি। ভাঙতে পারেনি বাজার সিন্ডিকেট। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে পুলিশ বাহিনীকে এখনো পুরোপুরি ফাংশনাল করে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ বড় ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধী সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যার হিড়িকে লাগাম টেনে ধরতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।

যদিও ইমেজ সংকটে থাকা পুলিশের নিষ্ক্রিতার কারণে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনা, বিজিবি,র্ যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে নিয়মিত যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সেনাসদস্যদের বিচারিক ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন জনগণের আস্থার সংকট অনেকটা আগের মতোই রয়ে গেছে।

এদিকে সরবরাহ আগের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও কাটেনি গ্যাস-সংকট। বিদু্যৎ উৎপাদন খাত ও সার কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে শিল্পকারখানা ও বাসায় গ্যাসের সরবরাহ তেমন বাড়েনি। এতে করে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ধরে রাখা নিয়ে ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছেন। বাসায় রান্নার কাজেও গ্যাস পাচ্ছেন না রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের গ্রাহক।

এদিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

\হপলিথিনের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগও প্রশংসার দাবিদার। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মেও গতি বেড়েছে। উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র আন্দোলন থেকে আসা দুই তরুণ সদস্যের তৎপরতাও দৃশ্যমান।

তবে জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদল সুশাসনের লক্ষণ নয় বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছে। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো অকেজো থাকায় মানুষের দৈনন্দিন সমস্যাগুলোর সুরাহা হচ্ছে না। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গরিব মানুষের ভাতা আটকে আছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায়। যা তাদেরকে চরম বিপাকে ফেলেছে।

উপদেষ্টা পরিষদে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি হিসেবে যাদের নেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ খুবই কম। আড়াই দশক ধরে যারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলন করে আসছেন, তাদের থেকে কাউকে উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিলে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান সহজ হতো বলে সংশ্লিষ্ট মনে করছেন।

অন্যদিকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান শক্তি ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানের মাধ্যমে পাওয়া জনগণের বিপুল সমর্থন। কিন্তু জনগণের সঙ্গে উপদেষ্টাদের যোগাযোগ বাড়ানোর তেমন উদ্যোগ নেই বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে।

আওয়ামী সরকারকে হটাতে যে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে তৈরি জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলা মব জাস্টিস, মন্দির ও মাজার ভাঙচুরের ঘটনা প্রতিরোধে অন্তর্র্বর্তী সরকারের 'নিষ্ক্রিয়' ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের দাবি, মানুষ যেসব আকঙ্ক্ষা থেকে আন্দোলনে নেমে এসেছিল, সেসব আকাঙ্ক্ষা এখনো অপূর্ণ।

গণ-অভু্যত্থানে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। অভু্যত্থানের তিন মাস পার হলেও আহত অনেক ব্যক্তির চিকিৎসার সুব্যবস্থা পুরোপুরি হয়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ কিংবা গুরুতর আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করা অনেকেই আর্থিক সংকটে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। যা সরকারের ভাবমূর্তি খানিকটা ম্স্নান করেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন, তার কার্যক্রম তেমন দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেছেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তবে তাদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। জনকল্যাণমুখী সরকারকে সততার পাশাপাশি যোগ্যতার পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

এদিকে বড় কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সরকার তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারলেও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মন অর্জন করতে পারছে না। কারণ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। সরকারের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। এ নিয়ে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টারাও বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা স্বীকার করছেন। যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, অনেক পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

বাজার বিশ্লেষকদের ভাষ্য, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। গত সরকারের আমলে বাজারের অস্থিরতার জন্য বাজার সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হতো। অথচ গত তিন মাসে এ জায়গাটায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাজারের কাঠামো মোটামুটি আগের মতোই আছে। যেহেতু এখন কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা নয়, সেহেতু এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কিছুটা বেশি। সেই প্রত্যাশার জায়গায় সরকার যথেষ্ট দক্ষতা দেখাতে পারেনি।

এদিকে মোটাদাগে কিছু ব্যর্থতা থাকলেও কূটনীতি ও অর্থনীতির গতি ফেরাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সফলতার এ ধারা অব্যাহত থাকলেও সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে।

এদিকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের তিন মাসে সবচেয়ে বেশি সংস্কার হয়েছে আর্থিক খাতে। শেখ হাসিনা সরকারের করা বিপুল ঋণ পরিশোধের চাপ যখন বাড়ছে, তখন রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকছেন প্রবাসীরা। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আগের চেয়ে বেশি গতি বেড়েছে প্রবাসী আয়ে। এতে শক্তিশালী হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

তবে ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ততটা সন্তোষজনক নয় দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্য, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যাংকঋণের সুদহারও পালস্না দিয়ে বাড়ছে। সুদ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীল ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে চলমান অস্থিরতায় অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য নয়-এমন পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। তাতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বিক্রিতে ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। সুদহার অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ ও নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা আপাতত তুলে রাখছেন অনেক উদ্যোক্তা। শুধু সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশলের যৌক্তিকতা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য এবং সে কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার পদত্যাগ দাবি করলেও বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের অবস্থানও বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সমর্থন পায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনের পাশাপাশি সমালোচনাও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এ ছাড়া গত মাসে উলেস্নখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ছিল, হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগে ১২ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ না দেওয়া এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী চূড়ান্তভাবে বাতিল হওয়া। এর ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত বিষয়ের নিষ্পত্তি ঘটে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসের পরিস্থিতি রাজনীতিবিদরা মূল্যায়ন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্র-জনতার দেশ-কাঁপানো আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ফলে ১৫ বছরের দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু যে কারণে এই পরিবর্তন সেই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় এখনো কাটেনি। নির্বাচন কবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ১৫ বছরে জনগণের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। জনগণ তার প্রত্যাশা থেকে সরে আসেনি। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে এলে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু একটি অনির্বাচিত সরকার ব্যাপকভাবে সংস্কার কতটুকু করতে পারে, সে দিকটিও তাদের ভাবতে হবে। অগাধ কল্পনা বাস্তবতা বহির্ভূত হয়। সরকারকে এ বিষয়টি মনে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে। বিপস্নবের এই স্পিরিট ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা করেন। তবে সরকার দ্রম্নত নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তুতি এখনো সম্পন্ন করতে পারেনি। আশা করি, দ্রম্নত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেবে সরকার।

মতিউর রহমান বলেন, সরকার একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ দেশের সর্বস্তরে দুর্নীতি ও দলীয়করণ থেকে রাহুমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। ব্যাংক খাতে সংস্কার আনা হচ্ছে। এই দিকগুলো ইতিবাচক।

বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সংগঠক সাইফুল হক বলেন, জনগণের বিশাল প্রত্যাশার চাপ নিয়ে সরকার পরিচালনায় নানা ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকলেও গত তিন মাসে দেশের ভঙ্গুর সামষ্টিক অর্থনীতিতে খানিকটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। অর্থনীতি কিছুটা সচল হতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স আসার গতি ও রিজার্ভ বেড়েছে। গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিচারে গঠিত ট্রাইবু্যনাল এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। ধীরগতিতে হলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। সরকার বহির্বিশ্বের সমর্থন আদায়ে অনেকটা সক্ষম হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি না থাকলেও তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, শ্লথগতি, নানামুখী চাপ, সরকার পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার অভাব বলে মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে