যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে এই নির্বাচনের দিকে। তাদের আগ্রহ কে হচ্ছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধান? ডেমোক্রেট কমলা হ্যারিস না রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প? কার নেতৃত্বে চলবে যুক্তরাষ্ট্র? আসলে এটা কেবলই একটি দেশের নির্বাচন মাত্র নয়। আমেরিকার ভোটবাক্সে লুকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বের অভিমুখ। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ হলেও ফল জানা যেতে পারে বুধবার সকালে অথবা অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে আগামী কয়েকদিন। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী পদ্ধতির কারণে ফল পেতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ইলেক্টোরাল ভোটের চূড়ান্ত ফল পাওয়ার পরই জানা যাবে কে হয়েছেন বিজয়ী। সব মিলিয়ে যিনি অন্তত ২৭০টি বা তার বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন তিনিই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। কমলাকে জিতানোর জন্য ওবামা, ক্লিনটন এবং বাঘা বাঘা শিল্পীরা, একইসঙ্গে মিশেল ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনও মাঠে নেমেছেন। ওদিকে দুই শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও বিল গেটস অর্থের ভান্ডার নিয়ে নেমেছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে জিতিয়ে নিজের ব্যবসায় আরো শিখরে উঠতে। জো বাইডেনের বয়সের ভারসাম্যহীনতার জন্য তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরতে হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও বয়স একটি ফ্যাক্টর, এদিক থেকে কমলা সুবিধাজনক অবস্থানে। তবে বয়সে প্রবীণ হলেও ট্রাম্প আক্রমণাত্মক, শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও সফল ব্যবসায়ী- যা মার্কিনিদের পছন্দ। আবার জেনারেশন গ্যাপেও কমলার অবস্থান সুবিধাজনক।
৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্য ১৯টি ডেমোক্রেটদের যেখানে ইলেক্টোরাল ভোট ২২৬টি আর রিপাবলিকানদের দখলে ২৪টি অঙ্গরাজ্য যাদের ভোট ২১৯টি, অন্যদিকে ৭টি দোদুল্যমান রাজ্যের ভোট ৯৩টি, এখান থেকে ৪৪টি পেলে কমলা জয়ী আর ট্রাম্পকে পেতে হবে ৫১টি। এখানেই দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মাহাত্ম্য। তাই দুজনই আদাজল খেয়ে নেমেছেন ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জন করতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে কেন পৃথিবীব্যাপী এমন উৎসাহ? কারণ, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে যা কিছুই ঘটুক- যুদ্ধ কিংবা যে কোনো সংকট-সমস্যা বা যে কোনো সামাজিক-রাজনৈতিক-মানবাধিকার সমস্যা- সব খানেই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র জড়িত এবং তা গুরুত্ব বহন করে। ইউক্রেন, গাজা, লেবানন, তাইওয়ান, এমনকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থানেও আমেরিকা সক্রিয়। তাছাড়া, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সবগুলো সংস্থার ওপরও মোড়লিপনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরান, রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান সবাই নিজ নিজ স্বার্থে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশি আমেরিকানরাও ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্ত, তবে ডেমোক্রেট সমর্থক বেশি।
নির্বাচনী এজেন্ডা ও প্রতিশ্রম্নতির ব্যাপারে কমলা-ট্রাম্প দুজন কিছুটা দুই মেরুর, বিশেষ করে অভিবাসী ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায়। কমলা মধ্যবিত্তদের প্রতি সদয় আর ট্রাম্প ধনী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে উন্নয়নে বিশ্বাসী।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজা ও লেবানন। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ইরান-ইসরায়েলও যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে মার্কিন প্রশাসনের। এ নিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব এশিয়া সংকটে পড়েছে। নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়েছে ভারত ও কানাডার মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খালিস্তানি নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা হচ্ছে ব্রিকস জোটের মাধ্যমে।
অস্থিতিশীলতা ও গৃহযুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত সুদান, মালি, সোমালিয়া, কঙ্গো, বুরকিনাফাসোসহ আফ্রিকার বহু দেশ। শুধু ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় ইউরোপও। এই অঞ্চলে বেশিরভাগ সমর্থন যাচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের কাছে। ট্রাম্প জিতলে ইউরোপ সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সেখানকার নেতারা। বিশ্বের এসব সংকটের মুহূর্তে আজকের ভোটেই জানা যাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস কি বাইডেনের দেখানো পথ অনুসরণ করে তার দৃঢ়বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাবেন? নাকি 'বিশ্ববাদ নয়, আমেরিকাবাদ' বিশ্বাস নিয়ে আবারো 'মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' নিয়ে পথ চলবেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি এবং অনেক জোটে দেশটির প্রধান ভূমিকার কারণে তারা এখনো বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দেশে দেশে গণতন্ত্রের সংকট বাড়বে না কমবে তাও নির্ধারিত হতে পারে মার্কিন নির্বাচনের মাধ্যমে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়লাভ করলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতিসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউজের বর্তমানে অনুসৃত নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির খুব একটা পরিবর্তন না-ও হতে পারে। তিনি যার রানিংমেট এবং যার শারীরিক অসমর্থতার দরুন আকস্মিকভাবেই তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন পেয়েছেন, সেই জো বাইডেনের নীতির ধারাবাহিকতাই অক্ষুণ্ন রাখবেন কমলা হ্যারিস। তবে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হতে পারে, যদি তার বদলে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটগ্রহণ
বেশিরভাগ ভোটার আজ মঙ্গলবার ভোটকেন্দ্রে গিয়েই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং এরপর ব্যালট গণনা করা হবে। তবে পোস্টাল ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করে বা আগাম ভোটিংয়ের দিনগুলোতে অনেকে আগেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে সাত কোটির বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোট গণনা শুরু হয় কখন?
প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করে থাকে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে সাধারণত স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে যায় কিন্তু আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে থাকেন।
ফলাফল কখন পাওয়া যাবে?
নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো বুধবার সকাল অথবা কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও অনেক সময় মাসের পর মাস ফলাফল ঠিকমতো চূড়ান্ত হয় না। তবে চূড়ান্ত ভোট গণনা হওয়ার অনেক আগেই অঙ্গরাজ্য এবং সম্পূর্ণ নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণত বলা সম্ভব হয় যে, কোন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। যেমন পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের তিন দিন পরেই জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়েছিল। এ অঙ্গরাজ্য বাইডেনকে ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট প্রদান করে। এর মধ্য দিয়ে জয়ের জন্য তার প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিশ্চিত হয়ে যায়। ২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন। জনমত সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে কমলা হ্যারিসের। কিন্তু নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে এগিয়ে ট্রাম্পই।
নির্ধারক দোদুল্যমান রাজ্য
বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত রাজ্যগুলো 'রেড স্টেট' এবং ডেমোক্র্যাট প্রধান রাজ্যগুলো 'বস্নু স্টেট' হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু হাতেগোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যে রাজ্যগুলোর ভোট যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। এসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এজন্য এসব রাজ্যকে 'সুইং স্টেট (দোদুল্যমান রাজ্য) বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট' বলা হয়। এগুলোই হলো নির্বাচনের যুদ্ধক্ষেত্র। এসব রাজ্যে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। তাই প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব রাজ্য হচ্ছে- নেভাদা, অ্যারিজোনা, মিনেসোটা, পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও উইসকনসিন।
ইলেক্টোরাল ভোট ও বিতর্ক
কংগ্রেসে ৫৩৫ জন সদস্য রয়েছেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন তিনজন নির্বাচক। অর্থাৎ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন এর অধিকাংশ অন্তত ২৭০টি। মার্কিন নাগরিকরা যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন, তখন তারা আসলে সেই প্রার্থীর ইলেক্টোরদের ভোট দেন। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কমলা হ্যারিস বিজয়ী হলে তিনি সে রাজ্যের ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন। মেইন এবং নেব্রাস্কাতে অবশ্য পদ্ধতি ভিন্ন। এই দুই রাজ্যে জনগণের ভোটের হারের ওপর ভিত্তি করে ইলেক্টোরাল ভোটও প্রার্থীদের মধ্যে ভাগ করা হয়। এমন কোনো সাংবিধানিক আইন নেই যেখানে রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়া প্রার্থীকেই ভোট দিতে ইলেক্টোরাল ভোটাররা বাধ্য। তবে রাজ্যের ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট দেওয়া একেবারেই বিরল। ইলেক্টোরাল পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার প্রধান অসুবিধা, অনেক সময়ে গোটা দেশের জনমত আর ইলেক্টর সংখ্যায় ফারাক থেকে যায়। যেমন হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেবার জনগণের ভোটের নিরিখে হিলারি ক্লিনটন (২৭৭ ইলেক্টোরাল ভোট) বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন ট্রাম্প (৩০৪টি)।
কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে?
দুই প্রার্থীই ২৬৯টি করে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন, এমন ঘটনা ঘটলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদকে বিজয়ী নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিটি রাজ্য প্রতিনিধি একটি ভোট পায় এবং জয়ের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ (২৬) ভোট প্রয়োজন হয়। মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে অবশ্য কখনই ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে দুই প্রার্থীর সমান সমান ভোট পাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
মার্কিনিরা আর কোন কোন ভোট দিচ্ছেন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন রয়েছে এ বছর। আজ সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচনে ভোট হবে। সিনেটে ৩৩টি এবং হাউজে ৪৩৫টি, মোট ৪৬৮টি আসনে লড়াই হবে। অনেক রাজ্যে আরো নানা স্তরের নির্বাচনেও ভোট দিবেন। ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করে ইসু্যও আলাদা হবে। নভেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ব্যালটে সবচেয়ে বড় এবং রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি হিসাবে গর্ভপাতের অধিকারটিও থাকছে।
নির্বাচন ঘিরে আতঙ্ক
সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন নির্বাচনের পর কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দেশটির ৪২তম প্রেসিডেন্ট মনে করেন, কমলা হ্যারিস জিতবেন এবং দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, ট্রাম্প হেরে গেলে তার সমর্থকরা ২০২০ সালের মতো দাঙ্গা বাধিয়ে দিতে পারে। সেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি হেরে গেলে দেশে রক্তপাত হবে। ফলে নির্বাচন-পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে আতঙ্ক মার্কিনিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। -বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স ও দ্য টেলিগ্রাফ