শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
চট্টগ্রামে স্বস্তিতে ক্রেতারা

সবজি-কাঁচামরিচে স্বস্তি পেঁয়াজে বাড়তি ঝাঁঝ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বাজারে সবজির পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতা

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কাঁচাবাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ২০০ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে শীতকালীন সবজি শিমের দাম ৩০০ টাকা থেকে কমে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হয়েছে মাছ ও মাংস।

শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখি কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ২০০ টাকা কমে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিম ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ছোট সাইজের ৬০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

\হলেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ২০০ টাকা কমে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা এবং পুরান আলুর কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিমের ডজন ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি চাষের শিং মাছ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজিশাইল ৭৫ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামে স্বস্তিতে ক্রেতারা

এদিকে, চট্টগ্রাম বু্যরোর মনির ফয়সাল জানান, চট্টগ্রামে আড়তে বাড়তে শুরু করেছে সবজির সরবরাহ। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে নগরের পাইকারি বাজারে সবজির দামও। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। তবে দাম পুরোপুরি নাগালের মধ্যে না এলেও দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

উৎপাদন অঞ্চলে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে গত দুই মাস ধরে চট্টগ্রামে সবজির সরবরাহ কমে যায়। আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, প্রতিদিনের চাহিদার বিপরীতে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি আসছিল মাত্র ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। বাজারে সংকট তৈরি হওয়ায় দুই মাস ধরে বেশকিছু সবজির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার নগরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরদিন মঙ্গলবার কৃষি ওএমএস কার্যক্রম শুরু করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং নগরের বহদ্দারহাট পুকুর পাড়ে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। এরপর গত বৃহস্পতিবার ৬টি সেলস সেন্টারে সবজিসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে জেলা প্রশাসন। আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে গঠিত টাস্কফোর্সও বাজার তদারকি করছে নিয়মিত। নানামুখী এমন উদ্যোগের চাপ পড়েছে কাঁচাবাজারে। দাম কমেছে সবজির। উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয়েছে কৃষক বাজার।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্সসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বরবটি, শিম, কাঁচামরিচ, মুলা, বেগুন, টমেটো, পটোল, ফুলকপি, চিচিঙ্গা এবং পেঁপের। এর মধ্যে কেজিতে বরবটির দাম ২০-৩০, শিম ও কাঁচামরিচের দাম ৮০, মুলার দাম ৫০, বেগুনের দাম ২০, টমেটোর দাম ৪০, পটোল ও চিচিঙ্গার দাম ২০, ফুলকপির দাম ৩০ এবং পেঁপের দাম ৫ টাকা কমেছে। নগরে বরবটি ৭০-৮০, শিম ২০০, কাঁচামরিচ ২০০, মুলা ৭০, বেগুন ১০০, টমেটো ১৬০, পটোল ৬০, ফুলকপি ১২০, চিচিঙ্গা ৫০ এবং পেঁপে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে কাঁকরোল ১৪০, করলা ১২০, গাজর ১৮০, ঢেঁড়স ৮০, বাঁধাকপি ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, ছরা ৬০, ঝিঙে ৮০, আলু ৬০ এবং শসা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, মুলা শাক, পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া শাক ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। আর ২৫০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্পিও, কালবাউস কার্পজাতীয় মাছ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আড়াই থেকে দুই কেজি ওজনের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৮০০ থেকে ২৩০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা, কাজলি মাছ ১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ও লইট্যা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৪০ টাকা, গরুর মাংস হাড় ছাড়া ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ডিমের দাম ছিল ডজনপ্রতি ১৭০ টাকা। শুক্রবার ২০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। সরকারি দর অনুযায়ী খুচরায় এক ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা হওয়ার কথা।

মুদি দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভোগ্যপণের দামও কিছুটা কমছে। বিভিন্ন ধরনের চাল-ডালের দাম কেজিতে অন্তত ২-৩ টাকা কমেছে। পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা ও ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চালের মধ্যে সাধারণ আতপ ও সেদ্ধ মানভেদে ৫৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে এবং সুগন্ধি চাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০৫ টাকা, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চীনা রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা, চীনা আদা ২৪০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

নগরের কর্ণফুলী কমপেস্নক্সে বাজার করতে যাওয়া ছিদ্দিকুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কয়েকটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে দাম পুরোপুরি নাগালের মধ্যে না আসলেও আশা করছি, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আরও দাম কমে আসবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী ফারুক বলেন, আগের চেয়ে সরবরাহ বেড়েছে। এ জন্য কম দামে কিছুটা সবজি বিক্রি করতে পারছি। প্রায় সব সবজি আমরা ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

এদিকে, সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে মানবিক সংগঠন আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ক্রয়মূল্য বিক্রির এই কার্যক্রম চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট পুকুর পাড়ে চলবে মাসব্যাপী। আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের এ কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলেছে। সাশ্রয়ী দামে সবজি কিনতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভিড় করছে মানুষ।

আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ক্রয়মূল্যে বিক্রির দোকানে বেশ কয়েক ধরনের সবজি মিলছে। স্থানীয় বাজার থেকে এই দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন তারা। এখানে লাউ, শসা, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, ক্ষিরা, বরবটি, তিতা করলাসহ মোসাম্বি, আপেলসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি হচ্ছে।

আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, 'বাজারে এখন কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণে নেই। গরিবের ক্রয়সীমার বাহিরে চলে গেছে সবজির বাজার। তাই সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সংগঠনের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামীতে আরও কয়েকটি স্থানে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের এই যাত্রা। সফল আমরা হব। এরই মধ্যে আমাদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম দেখে অনেক পাড়া-মহলস্নায় ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করেছেন। সবজি সিন্ডিকেট না ভাঙা পর্যন্ত আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এই কাজ কার্যক্রম চলবে।'

চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, টাস্কফোর্সের কার্যক্রম চলছে, জেলায়-উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেলস সেন্টার চালু করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এগিয়ে আসছে। আশা করা হচ্ছে বন্যার ক্ষতিটা ছাড়া বাকিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।'

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এখন যে নানামুখী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে, সেটা আরও আগে শুরু হলে ভোক্তারা উপকৃত হতো। উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। হাতবদলের প্রচলন কমে গেলে দাম সহজে বাড়বে না। তবে এসব উদ্যোগ ক্ষণস্থায়ী, বাজার নিয়ন্ত্রণে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে