রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে গত কয়েকদিনের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। টানা তিনদিন বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করলেও চতুর্থ দিনে কোনো বিক্ষোভকারীকে দেখা যায়নি। শুক্রবার দুপুরে বঙ্গভবনের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য, পুলিশ,র্ যাব, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যরা বঙ্গভবনের নিরাপত্তায় অবস্থান করছেন। বঙ্গভবনে প্রবেশের সড়কে কাঁটাতার ও লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কংক্রিটের ডিভাইডার দেওয়া হয়েছে বঙ্গভবনের প্রবেশ পথে। এতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক দিয়ে প্রবেশের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
ওই দিন আন্দোলনকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এতে সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেদিন রাতে পুলিশের একটি দলের ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে পুলিশে ২৫ সদস্যসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।