বঙ্গভবনের নিরাপত্তায় এবার 'কংক্রিট বস্নক'

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে আন্দোলনের ফলে 'কংক্রিট বস্নক' দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবিটি বৃহস্পতিবার তোলা -ফোকাস বাংলা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে আন্দোলনের ফলে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার শাহরিয়ার আলী বলেন, 'বঙ্গভবন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে নতুন করে কংক্রিটের বস্নক বসানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, এপিবিএন,র্ যাব, বিজিবির সঙ্গে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।' বৃহস্পতিবার কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেডের সঙ্গে বসানো হয়েছে কংক্রিটের বস্নক। ওই এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করা গোটা দশেক আন্দোলনকারীর সঙ্গে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান বজায় রাখা নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগের প্রশ্নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুলস্নাহ ও সারজিস আলম দুইদিন সময় চাইলে একটি পক্ষ সরে যায়, তবে আরেক পক্ষ অবস্থান ধরে রাখে। ওই রাতে ব্যাপক উত্তেজনার পর বুধবার সকাল থেকে পুরো এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেদিন সড়কে কাঁটাতারের যে বেড়া দেওয়া হয়- বৃহস্পতিবার তা আরো বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কংক্রিটের বস্নক বসানো হয়েছে পুরো প্রবেশপথে। ব্যারিকেডের সামনে পুলিশ, বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। ব্যারিকেডের উপরে কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। আর ব্যারিকেডের পেছনে রয়েছে সেনা সদস্যরা। তাতে বঙ্গভবনের সামনের সড়ক দিয়ে ভেতরে প্রবেশের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তুমুল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আড়াই মাস পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছেন কি না, এই বিতর্ক তৈরি হয় রাষ্ট্রপতির একটি কথায়। \হদৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, তিনি পদত্যাগপত্রটি খুঁজে পাননি। এই বক্তব্য মানবজমিনের একটি ম্যাগাজিনে ছাপা হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি চাপে পড়েন। প্রথমে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাহাবুদ্দিন 'মিথ্যা' বলে শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাকে অপসারণের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে মাঠে নামে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে এই দাবিতে একটি পক্ষ বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পদত্যাগ দাবি করে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে আরেকটি পক্ষ সাতদিন সময় দেয়।