ইমরান রিমান্ডে, কামাল মজুমদার কারাগারে
প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী আলতাব খান অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি জঘন্য অপরাধ করেছে। মালার আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য
\হঅর্থাৎ তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবহির্ভূতভাবে একটি প্রবাসী নামক অ্যাপস চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছে।
বাদী আরও উলেস্নখ করেন, 'পরস্পর যোগসাজশে আমার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানব পাচারের উদ্দেশ্যে আমার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া তারা সংঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।'
কামাল মজুমদার কারাগারে
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিরপুরে ইকরামুল হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুদ্দীন হোসাইন সোমবার এ আদেশ দেন।
কামাল মজুমদারকে সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত কামাল মজুমদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানা পুলিশ। শনিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এর শাহআলী মাজারের সামনে গুলিতে আহত হন ইকরামুল হক। চিকিৎসার জন্য তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৪ আগস্ট তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ইকরামুল হকের বাবা জিয়াউল হক ৭ সেপ্টেম্বর শাহআলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।