কামাল মজুমদার রিমান্ডে আনিসুল হক কারাগারে
প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একরামুল হক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শনিবার এই আদেশ দেন।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকাল ৭টার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একরামুল হক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর সঙ্গে পুলিশ তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কামাল আহমেদ মজুমদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একরামুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একরামুলের বাবা জিয়াউল হক বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আসামি ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সরকারের সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি
আমলা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৭৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আনিসুল হক কারাগারে: এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৪ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগের মামলায় ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে গত, ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় আলামিনের মা মনিহার বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।