শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ

পলস্নী বিদু্যতের ছয় কর্মকর্তা রিমান্ডে

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পলস্নী বিদু্যতের ছয় কর্মকর্তা রিমান্ডে

বিদু্যৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিলস্নার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি ২-এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর আশিকুর রহমান দেওয়ান। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিদু্যৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত থানায় পথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্র হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদু্যৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানান অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পলস্নী বিদু্যতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।

তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এসব কর্মকান্ড বাংলাদেশ পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদু্যৎব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা যা দেশদ্রোহিতার শামিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে