স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে ধীরগতি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া স্বাস্থ্য খাতকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে সরকারের পদক্ষেপও খুবই কম

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

সাখাওয়াত হোসেন
'স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দুর্নীতির ব্যাপারে শূন্য সহনশীল নীতি অনুসরণ করা হবে।' দায়িত্ব গ্রহণের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এমন ঘোষণা দিলেও গত দুই মাসে এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া স্বাস্থ্য খাতকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে সরকারের পদক্ষেপও খুবই কম। এছাড়া পটপরিবর্তনের পর সরকারি হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা কাটাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেওয়া কার্যক্রমও চলছে ধীরগতিতে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে কম বাজেট বরাদ্দ, প্রশাসনিক সুশাসন না থাকা, অনিয়ম-দুর্নীতি, চিকিৎসকদের মূল্যবোধের অভাব, রোগীর পকেট থেকে চিকিৎসা ব্যয় মিটানো, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ, ধনী ও দরিদ্র ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবায় বৈষম্যসহ নানা অসঙ্গতি গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সদস্যদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। সব ধরনের যোগ্যতা থাকার পরও বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের যথাসময়ে পদোন্নতি হয়নি। তাদের কোনো প্রকল্প প্রধান করা হয়নি। সেইসঙ্গে স্বাচিপ বা ড্যাবের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন অর্থাৎ স্বতন্ত্র চিকিৎসকরাও বঞ্চিত হয়েছেন। যোগ্যতার মূল্যায়ন না হওয়ায় অপমানে, হতাশায় আওয়ামী লীগের শাসনামলে চিকিৎসকদের অনেকের সরকারি চাকরি ছাড়ারও নজির রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এ পরিস্থিতির দ্রম্নত পরিবর্তন হবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল চিকিৎসকসহ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার। তবে বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। অনিয়ম-দুর্নীতি ও সব ধরনের অব্যবস্থাপনার অবসান ঘটিয়ে এ খাতকে ঢেলে সাজানোর দৃশ্যমান কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে চলমান অস্থিরতা দূরীকরণের উদ্যোগও আশানুরূপ নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে খোদ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সম্প্রতি সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে সেখানকার চিকিৎসায় নানা দুর্ভোগ ও অনিয়ম দেখে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, 'এই মুহূর্তে সবচেয়ে অ্যাকটিভ উপদেষ্টা হওয়ার দরকার ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার। যিনি অফিস অফিসে করবেন না, যিনি অফিস করবেন হাসপাতালে। যিনি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াবেন। আমাদের জায়গা থেকে বারবার স্পষ্টভাবে বলেছি, তাদের আসলে যেভাবে যতটা অ্যাকটিভভাবে কাজ করার কথা, অতটুকু দেখতে পাই না।' জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্য খাতের নানা বিষয় সংস্কারে বিভিন্ন সময় অর্ধশতাধিক সুপারিশমালা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে বিগত সরকারের আমলে এসব সুপারিশের মধ্যে যেসব বিষয়গুলো শুধু ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও তা চলছে খুবই ধীরগতিতে যা জনস্বাস্থ্যবিদদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, চিকিৎসকদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ব্যাপারে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে। এই সমন্বয়হীনতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া দলবাজিও চিকিৎসকদের অনেক ক্ষতির কারণ- যা দ্রম্নত সংস্কার জরুরি। আমলাতন্ত্র নানাভাবে স্বাস্থ্য খাত ও চিকিৎসকদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, বর্তমান কাঠামোয় চিকিৎসকরা আমলাদের হাতে ঔপনিবেশিকভাবে পরাধীন। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো পৃথক বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস কমিশন গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে দু'টি বিভাগ হওয়ার কারণে মাঠপর্যায়ের কাজে দ্বৈততা আছে, সমন্বয়হীনতা চোখে পড়ে। এতে সম্পদের অপচয় হচ্ছে। এর পাশাপাশি চিকিৎসা সুরক্ষা আইন পাস, মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং মেডিকেল কলেজে অপরাজনীতি বন্ধ এবং বিনা প্রয়োজনে বিদেশে রোগী পাঠানোর অপচর্চা বন্ধ করারও তাগিদ দেন। একই সঙ্গে এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ধীরগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ানস বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, সংস্কার করতে হলে অভীষ্ট বা রূপকল্প থাকতে হবে। দুর্বলতা, সামর্থ্য বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা করা জরুরি। তিনি বলেন, মেডিকেল পাঠ্যসূচির আধুনিকায়ন হয়নি। নৈতিকতা, মানবিকতা, যোগাযোগ দক্ষতার মতো বিষয়গুলো পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা না হলে এখন মধ্যবিত্তরা চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন, ভবিষ্যতে নিম্নবিত্তরাও যাবেন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের সাবেক উপাচার্য লিয়াকত আলী বলেন, এই সরকার আইন করতে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে কী আছে, তা অনেকেই জানেন না। এর খসড়া সবার জন্য উন্মুক্ত করা উচিত। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) বিজ্ঞানী আহমদ এহসানূর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অন্য দেশের তুলনায় তলানিতে। এত কম বিনিয়োগ করে কীভাবে দরিদ্র ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়? স্বাস্থ্যসেবা ভালো করতে পারলে চিকিৎসা ও ওষুধের মানও বাড়বে। চিকিৎসকের চেয়ে নার্স ও নার্সের চেয়ে প্যারামেডিক বেশি থাকা উচিত। অথচ দেশে শুরুতেই শুধু চিন্তা করা হয় চিকিৎসক বাড়ানোর জন্য। এসব সংকটের সংস্কার জরুরি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ এ খাতের সংস্কার সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার করতে চাইলে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওষুধ ও জনসংখ্যা- এই চার নীতিতে হাত দিতে হবে মনে করেন তারা। এদিকে স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহে দুর্নীতির লাগাম টানা জরুরি হলেও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো এসব ব্যাপারে জোরালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে আক্ষেপ করেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, স্বাস্থ্য খাতের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে। ডাক্তাররা সাধারণত প্রত্যন্ত এলাকায় থাকতে চান না। সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ-বদলি, পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণার্থী বাছাইয়ে কোনো নীতিমালা মানা হয় না। স্বার্থান্বেষী মহল এসব কাজে টাকা আদায় করে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কর্মচারীরা একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার সুবাদে স্থানীয় দালালদের সমন্বয়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্রে পরিণত হয়। সাধারণ রোগী বা তাদের স্বজনদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ক্রয় কমিটিতে উলেস্নখযোগ্যসংখ্যক নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তা সংযুক্ত না থাকায় অতি সহজেই সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ তৈরি হয়। ক্রয় কমিটির কার্যক্রমে সরকারের যথাযথ নজরদারি না থাকায় ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য পণ্য কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অনেক অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা হয়। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি টাকা ভাগবাটোয়ারা হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম চালানোর জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ না দিয়েই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। এগুলো দীর্ঘকাল অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হয়ে যায়। কোথাও কোথাও যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও মেরামত দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে সরবরাহ বা মেরামত করা হয় না বরং সমপরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে ওই সব হাসপাতাল থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন পাচ্ছে। ফলে গরিব রোগী কম মূল্যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যথাযথ নজরদারি না থাকায় হাসপাতালগুলোতে সরকার নির্ধারিত ওষুধ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের দেওয়া হয় না। এসব ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয় কিন্তু রেজিস্টারে হিসাব মিলিয়ে রাখা হচ্ছে। সমাজের একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি যথাযথ সরঞ্জাম না থাকা সত্ত্বেও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করছেন। তারা নানা উপায়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মচারীদের প্রভাবিত করে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগী পাঠাতে বলেন। বিনিময়ে কমিশন দেন। ফলে সাধারণ রোগীরা অযথা আর্থিক দুর্ভোগের শিকার হয়, গরিব রোগীরা বিনামূল্যে যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মেধা যাচাই না করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানোরও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। দেশের কিছু কিছু ওষুধ কোম্পানি অথবা কোম্পানি নামধারী নকল প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ও নকল ওষুধ তৈরি করে। এসব কোম্পানি বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে তাদের উৎপাদিত নিম্নমানের ওষুধ লেখানোর ব্যবস্থা করে। এসব ওষুধ খেয়ে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আবারও চিকিৎসকের কাছে যেতে বাধ্য হয়। স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়গুলো বেশ আগে থেকেই ওপেন সিক্রেট। বিগত সরকারের মন্ত্রীরা তা দূরীকরণে নানা প্রতিশ্রম্নতি দিলেও বাস্তবে উল্টো পথে হেঁটেছেন। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন কিংবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর তারা আশাবাদী ছিলেন, এসব অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে দ্রম্নত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে বাস্তবে এর কিছুই হয়নি, যা তাদের হতাশ করেছে।