সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নাম উলেস্নখ করে লক্ষ্ণীপুর আদালতে একটি মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদির আইনজীবী আহমদ ফেরদৌস মানিক গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসায় হানা দেয়র্ যাব-১১ একটি দল। তখন তার বাসার দরজা ভেঙের্ যাব সাবুর পায়ে গুলি করে। এ ঘটনা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে যুবদল নেতা জুয়েলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সাবুর বাসার দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। মিছিলটি চকবাজার এলাকায় পৌঁছলের্ যাব সদস্যরা মিছিলে গুলি চালায়। তখন যুবদল নেতা জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকের্ যাব তার লাশ নিয়ে চলে যায়। দুটি ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গের্ যাব-১১ এর দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরে বিকালে ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টার এসে অবরুদ্ধর্ যাব সদস্যদের জেলা পুলিশ লাইন থেকে উদ্ধার করে। সেদিনর্ যাবের গুলিতে জুয়েল, মাহবুব ও শিহাব নিহত হন। মাহবুব, শিহাবের লাশ উদ্ধার হয়। কিন্তু আজও জুয়েল জীবিত না মৃত- এ উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে তার পরিবার।
মামলার উলেস্নখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী, মেজর শহিদুল হক, মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান, হাসান মামুদ খন্দকার, সালাহ্ উদ্দিন টিপু, শিবলু, ইকরাম উদ্দিন, মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু, মাসুদুর রহমান, বায়েজিদ ভূঁইয়া, তানভির হায়দার প্রমুখ।
মামলার বাদি বিএনপি নেতা সাবু বলেন, অন্যায়ভাবের্ যাব সেদিন আমার বাসায় ঢুকে আমার ওপর নির্যাতন করে। আমার পায়ে গুলি করে। দীর্ঘ ১০টি বছর আমি মামলা করতে পারিনি। দেশ-বিদেশ আমি পালিয়ে বেড়ালাম। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো।
বাদি পক্ষের আইনজীবী আহমদ ফেরদৌস মানিক বলেন, লক্ষ্ণীপুর (সদর) কোর্টের বিচার আবু সুফিয়ান নিজাম বাদির মামলা আমলে নিয়ে, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্দেশ দিয়েছে মামলাটি এন্ট্রি করার জন্য।