গুম কমিশনে অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কমিশন প্রধানের কাছে অভিযোগ জমা দেন তিনি। অভিযোগ জমা দিয়ে সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গুম, খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এখনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ জানান তিনি। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানসহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। সেই সঙ্গে দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, 'আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এর ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।' গুম কমিশন কী বলেছে? এ প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা তাদের নিয়মাবলির ও এখতিয়ারের মধ্যে থেকে এই জায়গাগুলো খুঁজে বের করবে। এরপর বিস্তারিত তদন্ত করবে। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ওই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ পাস অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন ঝুলে ছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১১ আগস্ট প্রায় ৯ বছর পর দেশে ফিরে আসেন বিএনপি সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।