পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তবে আদালতে দুজনই দাবি করেন, তারা অসুস্থ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এর আগে ফারুক খানকে পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করা হয়।
শুনানির সময় ফারুক খান আদালতের কাছে দাবি
করেন, তিনি অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ফারুক খানকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে র?্যাব ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করে।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মাহফুজার রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় আসামির তালিকায় ফারুক খানের নাম রয়েছে।
এদিকে নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।
অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আরজি বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানির সময় আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তিনি কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি অসুস্থ বলে আদালতের কাছে দাবি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আবদুর রাজ্জাককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আত্মগোপনে গেছেন। তাদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন।