দুদকের জালে আমু-কামরুল

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আমির হোসেন আমু তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগে দুর্নীতি এবং অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষাপ্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজে মোটা অঙ্কের টাকা অনৈতিকভাবে তিনি আদায় করতেন। এছাড়া ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে একটি পস্নট (৭২৭/এ) ও কেয়ারী পস্নাজায় দুটি ফ্ল্যাট, সাভারের বাটপাড়া মৌজায় ৪৮.৭২ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং মিরপুরের রূপনগরে ১ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক পস্নট ও একটি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ পাওয়া যায় বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। আমুর নামে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৮ টাকা ও তার নিজ নামে মোট ২০ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৮ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের বাইরেও তার দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের সোর্স সূত্রে জানা গেছে। গত ১৪ আগস্ট ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে তিনি। এদিকে, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কামরুল ইসলাম নিজ নামে ও সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে অধিকাংশ কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তিনি দুর্নীতির মাধমে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগের এই নেতার নিজ নামে ৪৮/১, আজগর লেনে চারতলা বাড়ি, মিরপুর আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট, নিজ নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটে চার কাঠা জমি, নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি রয়েছে। তার দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি রয়েছে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৫-৭৭০৭ এবং ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১২-১৪৩৫)। তিনি নিজ নামে ও আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক।