মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
ব্যাংক হিসাব জব্দের জের

শিল্প খাতে নতুন অস্থিরতা

'শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএফআইইউ কর্তৃক বেশ কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোনো কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি।'
সাখাওয়াত হোসেন
  ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শিল্প খাতে নতুন অস্থিরতা

ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়ার কারণ দেখিয়ে সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে পালস্না দিয়ে যা ক্রমেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে রূপ নিচ্ছে। নতুন করে আরও শিল্পপ্রতিষ্ঠান একই সংকটের দিকে এগুচ্ছে। এতে শিল্প খাত ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ব্যাংক হিসাব জব্দের অজুহাত তুলে কোনো বিশেষ মহল নতুন করে শিল্প খাত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। তাদের ভাষ্য, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় এজন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কোনো কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (জব্দ) করেনি। অথচ এ ফাঁদেই শিল্প খাতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কর ফাঁকিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের আওতায় থাকা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব বিএফআইইউ জব্দ না করলেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির হিসাবগুলোর লেনদেন স্থগিত করেছে কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। নির্দেশনার বাইরে গিয়ে তারা নিজ উদ্যোগে এ কাজ করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। গত সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা বিষয়টি স্পষ্ট করে।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএফআইইউ কর্তৃক বেশ কিছু ব্যক্তি ও একক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তবে কোনো কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি। কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে তা করায় কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান, আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় নেই, এবং যা মোটেই কাম্য নয়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেকোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হোক, তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থানে চলবে। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা দেবে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায় সব প্রতিষ্ঠান সচল থাকুক। তবে কেউ কেউ এই বিষয়গুলো নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, হতে পারে কোনো ব্যাংক নিজ থেকে অতি-উৎসাহিত হয়ে করেছে।

এদিকে অনেকের আশঙ্কা, এটি কোনো পরিকল্পিত নীলনকশা। কিছু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত শিল্পমালিক ব্যাংক হিসাব জব্দের ধুঁয়ো তুলে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছে। এরমধ্যে তারা শ্রমিকদের অসন্তোষ উসকে দিয়ে শিল্প খাত অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে।

শিল্প খাত পর্যবেক্ষণকারীদের অভিযোগ, বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ না করা নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ চলছে সদ্য ক্ষমতাচু্যত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রায় তিন ডজন কারখানায়। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৪৮ হাজার শ্রমিক। তাদের পেছনে মাসিক বেতন হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময় বেতন পরিশোধ না করায় এসব শিল্প কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক দফা সড়ক অবরোধ করে। যে উত্তপ্ততা ক্রমেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, সালমান এফ রহমান উদ্দেশ্যমূলকভাবে শ্রমিকদের বেতনভাতা বন্ধ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কেননা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এই দুর্নীতিবাজ শিল্পপতি এ ছক তৈরি করে নিজেকে মুক্ত করার ফন্দি আঁটতে পারে। পুলিশ রিমান্ডে তার বক্তব্যে এ আভাস আগেই পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সালমান এফ রহমান বলেন, 'ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২ বছর জেল খেটেছি। সুতরাং সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাকে জেলে রাখলে দেশের ক্ষতি হবে। কারণ আমার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মী আছে। তারা বেতন পাবে না। ব্যাংক থেকে যেসব টাকা ঋণ নিয়েছি সেগুলো পরিশোধ হবে না।'

আর্থিক গোয়েন্দারা জানান, সালমান এফ রহমানের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে শ্রমিক অসন্তোষে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতিতে নিয়ম ভেঙে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষভাগে আবারও বেক্সিমকোকে জনতা ব্যাংক ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

কারখানা চালু রাখা এবং শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে জনতা ব্যাংকের কাছে ৬৯ কোটি ৫ লাখ টাকার ঋণ সহায়তা চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো গ্রম্নপ। একই সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকেও ঋণ সহায়তার বিষয়ে চিঠি পাঠায়।

নিয়ম ভেঙে বেক্সিমকো গ্রম্নপকে ঋণ দেওয়ার কথা স্বীকার করে জনতা ব্যাংকের তৎকালীন এমডি মো. আবদুল জব্বার বলেন, 'নিয়ম করা হয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই। বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নিয়ম মানতে গেলে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। কারণ বেক্সিমকোয় ৩০-৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারলে গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। তাই দেশের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে।

যদিও এ ঋণ প্রদান কতটা সঠিক তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের ভাষ্য, জনতা ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে এ ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো গ্রম্নপের নেয়া মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের প্রায় ৯৫০ শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী, একজন বা একক ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকগুলো তাদের পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারে না। সেখানে জুন শেষে জনতার পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। অথচ জনতা থেকে নেয়া বেক্সিমকোর ঋণের ৭২ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

এদিকে শুধু বেক্সিমকোই নয়, একই পথে হাঁটছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম, নাসা, সামিট ও নাবিল গ্রম্নপসহ আরও প্রায় অর্ধশত শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়ার কারণ দেখিয়ে তারা শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন দিচ্ছে না। এমনকি কোনো কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্যাস-বিদু্যৎ ও পানির বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমদানি করা হচ্ছে না শিল্পের উৎপাদন করে ব্যবহৃত কাঁচামালও। ফলে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যা শ্রমিকদের চাকরি টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। শিল্পখাতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিতিশীলতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুল্ক-করফাঁকি, অর্থপাচার ও নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এসব ব্যবসায়িক গ্রম্নপের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলে তারা এ ইসু্যটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা কেউ কেউ এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকারকে দায়ী করে শ্রমিকদের উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট এস আলম গ্রম্নপ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে আর্থিক, আইন ও সামাজিক সহায়তা চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধানকে (বিএফআইইউ) দেওয়া এক চিঠিতে এই সহায়তা চায় তারা। এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে এস আলম গ্রম্নপের বিভিন্ন কোম্পানির যেসব হিসাব ছিল, সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। ফলে কর্মীদের সময়মতো বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। তাতে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, লেনদেন স্থগিত হওয়ায় এস আলম গ্রম্নপ বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে বিদু্যৎ, গ্যাস ও পানির মতো পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এস আলম গ্রম্নপ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ঋণ সহায়তা চাইলেও তা মূলত কোনো ফন্দি কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কেননা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে, তাদের অন্যতম ছিল এস আলম গ্রম্নপ। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ও রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে গ্রম্নপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবার গত এক দশকে ব্যাংক দখলসহ নানা ধরনের আর্থিক অপরাধ করেছেন। নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে অর্থ বের করে তা বিদেশে পাচার করেছেন। অথচ এ প্রতিষ্ঠানটিই এখন শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও পরিষেবা বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ চাইছে। যা খুবই রহস্যজনক বলে মনে করেন তারা।

এদিকে ৮ অক্টোবর কর্মবিরতিতে যায় আশুলিয়া থানাধীন ঘোষবাগ এলাকাস্থ নাসা গ্রম্নপ লিমিটেডের শ্রমিকরা। সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছে তারা।

গত ২৫ আগস্ট ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের অপসারিত চেয়ারম্যান এবং নাসা গ্রম্নপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তার স্ত্রী নাছরিন ইসলাম ও তাদের পুত্র-কন্যার ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করে বিএফআইইউ। এর পরপরই তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'আমার প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার মানুষ কাজ করে, বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি হয়। আমার হিসাব স্থগিত করায় প্রতিষ্ঠানের হিসাবেও লেনদেনে নিরুৎসাহিত হবে ব্যাংকগুলো। এতে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।'

এদিকে অত্যন্ত সূক্ষ্ণ কৌশলে পোশাকশিল্প খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খোদ সাধারণ গার্মেন্টস মালিকরা। গত শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত এক সভায় সাধারণ গার্মেন্টস মালিকরা অভিযোগ করেন, চলমান শ্রমিক আন্দোলন মোকাবিলা এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারকে পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বোঝাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বিজিএমইএ'র পরিচালনা বোর্ড। এ শিল্পকে ধ্বংস করতে একটি গোষ্ঠী কলকাঠি নাড়ছে, বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও সরকারের কাছে শিল্পে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরছে না এবং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না তারা।

নেক্সাস গ্রম্নপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ হোসাইনী বলেন, গার্মেন্টসে শিল্পে অস্থিরতা আগেও ছিল। কিন্তু অতীতের অস্থিরতা এত দীর্ঘায়িত হয়নি। এর পেছনে কারো ইন্দন থাকতে পারে। এরা শ্রমিক অসন্তোষের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধূলিস্মাৎ করতে চায়। গার্মেন্টস করে অনেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেনি, বিদেশে টাকা পাচার করেছে। এদের কারণে বেকায়দায় সাধারণ মালিকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে