গুলিবিদ্ধ আরও ৩ জন
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে জেলে নিহত
৬০ মাঝি-মালস্নাসহ পাঁচটি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি ট্রলার মালিকদের
প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিবর্ষণে এক জেলের মৃতু্য হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুই জেলে।
এ ঘটনায় ৬০ মাঝি-মালস্নাসহ পাঁচটি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রলার মালিকরা। তার মধ্যে নিহত-আহত জেলেসহ একটি ট্রলার ফেরত এসেছে।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী এই গুলি চালিয়েছে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন মো. ওসমান। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত জেলেরাও একই ট্রলারের। তবে তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মালস্নাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়।
যেখানে তার মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের নৌবাহিনী ট্রলারটি ছেড়ে দিলে নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে দুপুরে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের এসে পৌঁছেছে।
ধরে নিয়ে যাওয়া অপর চার ট্রলারের মালিক হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছেনের
\হছেলে আবদুলস্নাহ, তার ভাই আতা উলস্নাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ট্রলারগুলোয় ৫৫-৬০ জন মাঝি-মালস্না রয়েছে।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মালস্নাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, গুলিতে নিহত এক জেলেসহ একটি ট্রলার ফেরত আসার খবর পেয়েছি।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। নিহত ও গুলিতে আহতদের নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে এসেছে। সেখানে ১১ জন জেলে আছে।
একই সঙ্গে অপর চারটি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।