চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর স্থলে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখা এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়।
ইসি সচিব স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়েছে, 'নির্বাচনী ট্রাইবু্যনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, ১ম আদালত, চট্টগ্রামে দায়ের করা নির্বাচনী ট্রাইবু্যনাল মামলা নং-০২/২০২১ এর ১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের আদেশে ২৭/০১/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে 'নৌকা' প্রতীক-এর প্রার্থী ১নং বিবাদী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে 'ধানের শীষ' প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করায় এতদ্বারা বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশিত ১৭৮৭নং পৃষ্ঠার ১নং কলামের ১নং ক্রমিকের বিপরীতে ২নং কলামে বর্ণিত 'মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পিতা-হারুন অর রশীদ চৌধুরী, ঠিকানা-৮১১/এ, বহুদ্দার বাড়ি, ডাকঘর-চান্দগাঁও ৪২১২, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রামের পরিবর্তে 'শাহাদাত হোসেন, পিতা-আহমদুর রহমান, ঠিকানা-রহমান ম্যানশান, ১১০/১১১ ডি.সি. রোড পশ্চিম বাকলিয়া, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম' এবং 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ'-এর পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি' শব্দ ও চিহ্নসমূহ প্রতিস্থাপন করা হলো।
ডা. শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, 'দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি মাথায় রেখেই কাজ শুরু করব। স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ করে নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে সময়ের প্রয়োজনে কিছু বিষয়কে অগ্রাধিকার দিব। যেমন এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই মশক নিধন বিষয়টি এখন প্রাধান্য পাবে।'
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর গত ১ অক্টোবর এক রায়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইবু্যনাল। চট্টগ্রামের নির্বাচনী
ট্রাইবু্যনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন এই রায় দেন। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনি ট্রাইবু্যনালে মামলাটি করেছিলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।