গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল। আন্তর্জাতিক টি২০ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেন মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি২০'র আগের দিন মঙ্গলবার দিলিস্নতে সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। আগামী শনিবার হায়দরাবাদে চলতি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলে এই সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়াবেন মাহমুদউলস্নাহ।
টি২০ থেকে বিদায়ের পর এখন শুধু ওয়ানডে ক্রিকেটই টিকে রইল মাহমুদউলস্নাহর আন্তর্জাতিক অধ্যায়। ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের পর সাদা পোশাকে আর দেখা যায়নি তাকে। টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেননি তিনি। তবে ওই টেস্ট চলার সময় ড্রেসিং রুমে
সতীর্থদের তিনি জানান, টেস্টে আর খেলবেন না। সতীর্থরাও পরে তাকে মাঠে 'গার্ড অব অনার' দেন।
তার টেস্ট ক্যারিয়ার ৫০ ম্যাচের। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ খেললে টি২০ ক্যারিয়ার থামবে ১৪১ ম্যাচে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি২০ খেলার রেকর্ড তারই। সবচেয়ে বেশি ৪৩ ম্যাচে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের একমাত্র ফিল্ডার হিসেবে এই সংস্করণে নিয়েছেন ৫০ ক্যাচ। ১২৮ ইনিংস খেলে রান করেছেন তিনি ২ হাজার ৩৯৫। এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন শুধু সাকিব আল হাসান (২ হাজার ৫৫১)।
এখন পর্যন্ত ১৭৭টি টি২০ খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে ১৩৯টি ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাহমুদউলস্নাহ। তবে এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছেন না তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলে যেতে চান। তিনি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে।
২০০৭ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার পথচলা। ১৭ বছর পর সব ঠিক থাকলে তার বিদায়ী ম্যাচটি হবে হায়দরাবাদে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি২০ খেলার রেকর্ড তারই। সবচেয়ে বেশি ৪৩ ম্যাচে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের একমাত্র ফিল্ডার হিসেবে এই সংস্করণে নিয়েছেন ৫০ ক্যাচ।
১২৮ ইনিংস খেলে রান করেছেন তিনি ২ হাজার ৩৯৫। ফিফটি করেছেন ৮টি, স্ট্রাইক রেট ১১৭.৭৪। এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন শুধু সাকিব আল হাসান (২ হাজার ৫৫১)। বল হাতে ৪০টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। তবে বোলিংয়ে তার কার্যকারিতা অনেকদিন ধরেই কম। ব্যাট হাতেও ফর্মটা খুব ভালো নয়। সবশেষ ১০টি-টোয়েন্টিতে তার ফিফটি নেই। গত টি২০ বিশ্বকাপে ৭ ইনিংস মিলিয়ে রান করেছিলেন তিনি মোটে ৯৫। স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৯৪.০৫। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যখন সমীকরণ মিেিলয় জিততে পারলে সেমি-ফাইনালে ওঠার হাতছানি ছিল, তখন তার ব্যাটিংয়ের ধরন প্রবল সমালোচিত হয়েছে।
বিশ্বকাপের পর এই ভারত সফরের প্রথম ম্যাচে তিনি আউট হন ১ রান করে। এরপর এলো বিদায়ের এই ঘোষণা। তবে সিদ্ধান্তটি তিনি সফর শুরুর আগেই নিয়ে রেখেছিলেন বলে জানালেন সংবাদ সম্মেলনে। মামমুদউলস্নাহ বলেন, 'এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরই টি২০ থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের বিশ্বকাপের (টি২০) কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।'