এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২২৫ জন, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৫৯০ জনে। অন্যদিকে একই সময়ে রোগটিতে চারজনের মৃতু্য হয়েছে। তাতে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতু্য বেড়ে হলো ১৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৬৫ জন, ঢাকা বিভাগে ২৬৭ জন, ময়মনসিংহে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ১৬৯ জন, খুলনায় ১১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ জন, রংপুর বিভাগে ৫৩ জন, বরিশালে ৮৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সিলেট বিভাগে ৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এক দিনে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৬০৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১৮১২ জন; আর ১৭৯১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এ বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২০ হাজার ৭৩৭ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৩ জন।
এক দিনে যে চারজনের মৃতু্য হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, একজন খুলনা বিভাগ এবং একজন রাজশাহী বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ২৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এই মাসে সবচেয়ে বেশি ৮৩ জনের মৃতু্য হয়েছে।
অক্টোবরের প্রথম ৬ দিনে ৫৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃতু্য হয়েছে ২৩ জনের। এর আগে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ফেব্রম্নয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ৮ জনের।
জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য হয়। আগস্টে ৬৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃতু্য হয়।