বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অলিগলি, সড়ক-মহাসড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব পথে চলাচলের সময় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। পথে পথে দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজারবাগ, শান্তিনগর, বেইলি রোড, মালিবাগ, মৌচাক, পল্টন, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন জলাবদ্ধ গলিতে সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে ওইসব সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব আশপাশের সড়কেও পড়েছে। আধা ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে দেড়-দুই ঘণ্টা সময় লাগছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও যানবাহন বিকল হয়ে বুধবার রাত ১১টা থেকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের কেওঢালা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান, বন্দর এলাকায় একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ডভ্যান ও যাত্রামুরা এলাকায় একটি ট্রাক মহাসড়কে বিকল হয়ে যাওয়াতে এ যানজট সৃষ্টি হয়। মূলত রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও সড়কে খানাখন্দের কারণে এই যানবাহনগুলো বিকল হয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণেই বঙ্গোপসাগরে গভীর মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিলস্না, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার সার্ভিসিং সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই ডজন ডজন বিকল গাড়ি মেরামত করা হচ্ছে। মেকানিকরা জানান, ইঞ্জিনে পানি ঢুকে
এসব যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছে। মোটর সাইকেলসহ ছোট যানবাহনগুলো বিকল হওয়ার পর অনেকে দ্রম্নত সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে এসেছে। কিন্তু প্রাইভেট কারসহ মাঝারি ও বড় গাড়িগুলো আনতে দেরি হয়েছে। এসব কারণে ওইসব যানবাহন মেরামত করতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া পথে বিকল হয়ে পড়ে থাকা বড় গাড়ি মেরামত করতে অনেক যানবাহন মালিক গ্যারেজ থেকে মেকানিক ডেকে নিয়ে গেছেন। মাঝ রাস্তায় থাকা বেশকিছু যানবাহনের গিয়ার ফেঁসে যাওয়ায় তা ধাক্কা দিয়ে রাস্তার একপাশে সরানোও সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে যানজট বেশি বেড়েছে।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন। রমনা জোনের এডিসি পদমর্যাদার একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর ঢাকার অনেক সড়ক তলিয়ে গেছে। ওইসব সড়কে চলাচল করার সময় বিপুল সংখ্যক যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। বৃষ্টির মাঝে এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় যানজট পরিস্থিতি সামাল দেওয়া ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
ওই ট্রাফিক পুলিশের ভাষ্য, ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব না হলে এ সংকট থাকবেই। ট্রাফিক পুলিশ কিংবা গাড়ির মালিক-চালকদের এজন্য দোষ দিয়ে লাভ নেই।
সিএনজি অটোরিকশার চালক জাহিদুল জানান, ইঞ্জিনে পানি ঢুকে সিএনজি অটোরিকশার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। এক ঘণ্টা ধরে বেইলি রোডে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বৃষ্টি কমলে এটা টেনে গ্যারেজে নিয়ে যাবেন। বুধবার রাতেও মগবাজারের সেঞ্চুরি মার্কেটের সামনে একই ধরনের বিপদে পড়েছিলেন। পরে সেখান থেকে গাড়ি টেনে নিয়ে গ্যারেজে গেছেন। গাড়ি মেরামত করতে তার ৬শ' টাকা খরচ হয়েছে।
একই অবস্থা দেখা গেছে হাতিরঝিলের মধুবাগ লিংক রোডে। সেখানে জমে থাকায় রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহেল জানান, ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ায় গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না। তার বিকল গাড়ির জন্য গোটা রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা ধাক্কা দিয়ে তার গাড়ি পাশের গলিতে নিয়ে গেছে।
মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকুরে আহমেদ মীর ফারুক বলেন, 'সকালে বের হতে যেয়ে দেখি বাসার সামনে হাঁটু পানি, পরে ভিজেই অফিসের জন্য বের হলাম। সিএনজি অটোরিকশা নিলাম, সেটায় পানি ঢুকে তিনবার স্টার্ট বন্ধ হলো বনানী পর্যন্ত যেতে।'
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের বিভিন্ন স্পটে গণপরিবহণ যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর থেকেই যানজটের শুরু হয়েছে। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে জ্যামে বসে থাকে নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
পিয়াল হাসান নামে চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী বলেন, 'ভোরে সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়ে সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু পার হতেই তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। জানি না কখন গন্তব্যে পৌঁছতে পারব।'
পারভীন আক্তার নামে চৌদ্দগ্রামগামী এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, 'আগে জানলে আজ গাড়িতে উঠতাম না। ছেলেমেয়ে নিয়ে বড় বিপাকে আছি। এখনও সাইনবোর্ডে আটকে আছি, কখন বাড়ি পৌঁছব সেই চিন্তাই করছি।'
শ্যামলী পরিবহণের চালক শাহ আলম বলেন, 'ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওনা হয়েছি। কাঁচপুর সেতু পার হতেই কয়েক ঘণ্টা সময় বসে থাকতে হয়েছে। একদিকে প্রচন্ড বৃষ্টি অন্যদিকে তীব্র যানজট। সব মিলিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কখন যে সিলেট গিয়ে পৌঁছতে পারব- কিছুই বুঝতে পারছি না। শুনেছি রাস্তায় কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে আছে। তা ছাড়া রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। এ কারণেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।'
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাঈম বলেন, 'ভোর থেকেই মহাসড়কের কেউঢালা, লাঙ্গলবন্দসহ কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে যানজট ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা ভোর থেকেই মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছি।'
আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামে। এ ছাড়া কক্সবাজারে ১১৪, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ১০৮ ও ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতিভারী বৃষ্টিপাত।
এদিকে ঝড়োহাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, 'বঙ্গোপসাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে আগামীকালও দেশের সবখানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর পরশু (শনিবার) থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।'
পাঁচ বিভাগে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা : সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের পাঁচ বিভাগে দুই দিনের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় ওই বার্তায়।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার আভাস এসেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
নদীর পানি বাড়ছে দুই বিভাগে: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে দেশের দুই বিভাগে নদীর পানি বাড়ছে। তবে তাতে আকস্মিক বন্যা বা বিপদের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, 'দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেটে আরও একদিন এবং চট্টগ্রামে আরও দুইদিন পানি বাড়তে পারে।'
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট বিভাগ ও এর উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়বে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর সারিগোয়াইন, খোয়াই, কংস, ভুগাই ও ধলাই নদীর পানি কমছে। অন্যদিকে যাদুকাটা, মনু ও সোমেশ্বরী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু, গোমতী, মুহুরী, মাতামুহুরী ও হালদা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন চট্টগ্রাম বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাতে করে এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।