ডেঙ্গুতে আরও মৃতু্য ৮, শনাক্ত ১০১৭ জন
প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দেশে গত একদিনে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃতু্যর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদের নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৪ জন মারা গেলেন। এছাড়া এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ১৭ জন। তাদের নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯৯ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্তদের
মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৭ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪১০ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭৪ জনের মৃতু্য হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৩ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে বছরের আগের ৮ মাসের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। ওই মাসে ১৯ হাজার ২৪১ জন রোগী ভর্তির পাশাপাশি মৃতু্য হয় ৮৩ জনের। অক্টোবরের দ্বিতীয় দিন এক হাজার ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে আটজনের।
এর আগে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ফেব্রম্নয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃতু্য হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে দুজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে আটজনের।
জুলাই মাসে দুই হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য হয়। আগস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃতু্য হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতু্যর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৭০৫ জনের মৃতু্যও হয় ওই বছর।