সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
তিনি বলেছেন, 'যে মহান আদর্শের ওপর ভিত্তি করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, যে প্রত্যাশায় আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট মাসে এক অভূতপূর্ব গণ-অভু্যত্থানের মাধ্যমে নতুন পরিবর্তনের কেতন উড়িয়েছে তার লক্ষ্য ছিল- দেশে সব স্তরে সামাজিক সাম্য, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা। এ কথা অনস্বীকার্য যে, একটি ন্যায়ভিত্তিক শোষণহীন সমাজ গঠন এবং সমাজের সর্বস্তরে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য, আইনের শাসনের কোনো বিকল্প নেই।'
রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া ফুলেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'বাংলাদেশের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, ততদিন জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানে সব শহীদকে এ দেশের মানুষ গভীরভাবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের সংবিধানেও আইনের চোখে সমতা, ন্যায় বিচারের অধিকার ও
আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের কথা বার বার উচ্চারিত হয়েছে। আর এই সাংবিধানিক চেতনার সফল বাস্তবায়ন করবেন আপনারা, বিজ্ঞ আইনজীবীরা। একজন বিচারপ্রার্থী ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে প্রথমেই একজন আইনজীবীর দ্বারস্থ হন। পরম নির্ভরতায় বিজ্ঞ আইনজীবীদের ওপর তার সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার ভার অর্পণ করেন। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের মধ্যকার এই নির্ভরতার সম্পর্ক একটি পবিত্র আমানত। আমি বিশ্বাস করি, ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সব সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে সর্বদা সচেষ্ট আছেন।'
অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে জেলা দায়রা জজের বিচারক জিয়া হায়দার, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, অ্যাডভোকেট মোদাররেস আলী ইছা, অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান বিচারপ্রতি তরুণ আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনাদের স্মরণ রাখতে হবে, আপনারা মানুষকে আইনি সেবা প্রদানের জন্য এ মহান পেশায় এসেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মহান লক্ষ্য থেকে কখনই আপনারা বিচু্যত হবেন না। জাগতিক লোভ-লালসা আপনাদের যেন পেশাগত নৈতিকতার জায়গা হতে সরাতে না পারে সে বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকবেন।'