বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করেন তারা। এতে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে প্রণীত রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের এক ধারায় 'স্পিস অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট'-এর যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে একমাত্র এই বিষয়ের ওপর বিএসসি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি বৈষম্যমূলক, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক।
তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই বিএসসি, বিএসএস এবং বিএ ডিগ্রিকে সমানভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং কর্মক্ষেত্রেও সমান সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে আমাদের দেশে টেকনিক্যাল ডিগ্রির আদলে শুধু বিএসসি ডিগ্রির মধ্যেই একে সীমাবদ্ধ রাখা অযৌক্তিক। রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের কোনো অংশীজনকে রাখা হয়নি। এছাড়া তাদের মনগড়া ও ভিত্তিহীন একটি পকেট কমিটি এই বিভাগের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক রিট করে, যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও হীন মানসিকতার পরিচায়ক।
এ সময় শিক্ষার্থীরা রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন সংশোধনসহ চারটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-
১. বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অ্যাক্ট-২০১৮ এর বৈষম্যমূলক ধারা সংস্কার করে স্পিস অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টের যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিএসএস ইন স্পিস অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ প্যাথলোজি করতে হবে। অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে এমএসএস ইন স্পিস অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ প্যাথলোজি ডিগ্রি তফসিলভুক্ত করতে হবে।
২. বিদ্যমান ৩২ সদস্যবিশিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের প্রশ্নবিদ্ধ সদস্যদের বাদ দিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কাউন্সিলের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পেশাজীবীবিদের প্রতি হয়রানিমূলক রিট প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. এসব দাবি পূরণের আগে এই রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের মাধ্যমে কোনো তফসিল বা নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করা যাবে না। যেমন, রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতিবিষয়ক নীতিমালা ২০২৪ ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন ও প্র্যাকটিশনার লাইসেন্স প্রদান ২০২৪ অনুমোদন করা যাবে না।
সমাবেশ থেকে দ্রম্নত এসব দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে এসব দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা।