বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হবে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে হাতে নেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি। কারণ, জলাতঙ্ক মরণব্যাধি যা মানুষ ও প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি, বাদুড় ও শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ে হতে পারে এ রোগ। আর তা দ্রম্নত অন্য প্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। বতর্মানে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যায়। যার মধ্যে কুকুরের কামড়ের পর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ। জলাতঙ্ক রোগের জীবাণুবাহী অন্যান্য প্রাণী কামড়ালে বা আঁচড় দিলে এত মানুষের মৃতু্যর কোনো রেকর্ড নেই। জলাতঙ্ক রোগের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্ক বেওয়ারিশ কুকুর। অনেকেই এসব কুকুরকে পাগলা কুকুর হিসেবে চিনেন। সাধারণত কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে কুকুরের মধ্যে মানুষকে কামড়ানো বা আঁচড় কাটার স্বভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়। এজন্য শহরে বেওয়ারিশ কুকুরদের ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে গ্রামে সাধারণত বেওয়ারিশ কুকুরদের ইনজেকশন দিতে দেখা যায় না। যে কারণে মাঝেমধ্যেই পাগলা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যার খবর পাওয়া যায়। বিখ্যাত ফরাসি অণুজীব বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম এই রোগের টিকা আবিষ্কার করেন। এই টিকার কারণে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই অসামান্য অবদান স্মরণীয় করে রাখতে গেস্নাবাল অ্যালায়েন্স ফরর্ যাবিস কন্ট্রোল নামক সংস্থা কর্তৃক লুই পাস্তুরের মৃতু্য দিবস ২৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশে জলাতঙ্ক রোগীদের সরকারের তরফ থেকে বিনা মূল্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এক সময় যেসব প্রাণীতে কামড়ালে বা আঁচড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেইসব প্রাণী কামড় বা আঁচড় দেওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তিকে ১১টি পর্যন্ত ইনজেকশন দেওয়া হতো।