ফের লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার
প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাখাওয়াত হোসেন
ডিম ও মুরগির দাম সরকার নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সপ্তাহ পার হতে চললেও বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পর ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা এবং মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারদর স্থিতিশীল থাকলেও দেশের বাজারে এক লাফে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-৬ টাকা। ধান-চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাম অয়েলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ১৮ টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু চাল-চিনি-পাম অয়েল কিংবা ডিম-মুরগিই নয়, আলু-পেঁয়াজ ও সবজি-মাছসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অথচ মাত্র ক'দিন আগেও শিক্ষার্থীরা বাজার তদারকির দায়িত্ব পালন করাকালীন সময় এসব পণ্য স্বাভাবিক দামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু তারা মাঠ থেকে সরে আসার পর রাতারাতি সে চিত্র পাল্টে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভু্যত্থানের পর চাঁদাবাজ চক্র ও বাজার সিন্ডিকেট গা-ঢাকা দিলেও ভোল পাল্টে তারা আবার ফিরে এসেছে। ফলে নিত্যপণ্যের বাজার ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে।
যদিও বাজার পর্যবেক্ষকরা এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের ভাষ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ এবং সমন্বিত তদারকি না থাকায় পাইকার থেকে শুরু করে মধ্যস্বত্বভোগী ও খুচরা বিক্রেতা সবাই যার যার ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। নিয়ম-কানুন না মেনে বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সমন্বিত তদারকি না থাকায় সরবরাহ ও মজুতের সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারছে না। যা বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়মক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত সময়ের মতো বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারকদের কারও সঙ্গে বাজার সিন্ডিকেটের কোনো আঁতাত নেই। তাই বাজার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দ্রম্নত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সারাদেশে পথ-ঘাট ও পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজি ঠেকাতেও সরকার সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আগাম ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বাজার তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তৎপর হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয়।
তবে এরপরও কেন লাফিয়ে লাফিয়ে নিত্যপণ্যের বাজার চড়ছে, তা খুঁজতে গিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রকদের সেই গতানুগতিক দুর্বলতার চিত্র পাওয়া গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজার তদারকির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেই আগের মতই দায়সাড়া দায়িত্ব পালন করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যেই বাজারে নামলেও জনবল সংকটে থাকা এই সংস্থাটি পর্যাপ্ত অভিযান চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ছাড়া সংস্থাটির আইনে স্বল্প অংকের জরিমানা আদায় ছাড়া বড় কোনো শাস্তি প্রদানের বিধান না থাকায় ব্যবসায়ীরা ভোক্তা
\হঅধিদপ্তরের অভিযান খুব একটা আমলে নিচ্ছে না।
অন্যদিকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বিএসটিআই, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিমের বাজার তদারকি করার কথা থাকলেও বাজারে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের টিকির দেখাও মিলছে না। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সব সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি একসঙ্গে বাজার তদারকি এবং বাজারে অভিযান পরিচালনা করত, তাহলে অনায়াসে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।
কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, 'বাজার তদারকির জন্য সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থা আছে। সংস্থাগুলো পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঠিকমতো কাজ করছে বলে মনে হয় না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের টিমকে বাজার তদারকি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া আর কোনো সংস্থার উপস্থিতি বাজারে চোখে পড়ে না। ঠিকমতো বাজার তদারকি না করায় পণ্য মজুত রাখা, অতি মুনাফার চিন্তা থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত রেখে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তারা অন্যায় সুযোগ নিচ্ছে, কারসাজি করে পণ্যমূল্য বাড়াচ্ছে। তদারকি সংস্থাগুলো মূলত বাজারে রেফারির ভূমিকা পালন করবে। বাজারে কেউ ফাউল করলে তাকে লাল কার্ড দেখাবে অর্থাৎ তাকে শাস্তির আওতায় আনবে। কিন্তু সঠিক তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা বাজারে একের পর এক ফাউল খেলছেন, কিন্তু তাদের লাল কার্ড দেখানোর কেউ নেই।'
ক্যাবের এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অভিযোগ যে অমূলক নয়, তা রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী- কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। এতে আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দরেই কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। দাম বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না। আবার কেউ বলছেন, বর্তমান দামের চেয়ে কম দরে বিক্রি করলে উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ডিম-মুরগির দর নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে সংকট না থাকার পরও দাম বাড়ায় কারা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদিও কেউ কেউ বলছেন, তদারকির কাজে যুক্ত- এমন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে বাজারে তদারকি চলমান।
এদিকে খামারিদের দাবি, ফিডের দাম কমালে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমবে। কিন্তু খাদ্যের দাম না কমিয়ে ডিম আমদানি করলে ছোট খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বে। তাই উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ডিম-মুরগির দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রান্তিক খামারিদের মতামত নেওয়া হয়নি। মুরগির খাবারের বাজার পুরোপুরি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছামতো ফিডের দাম বাড়াচ্ছে।
তবে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, ফিড তৈরির ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এসব কাঁচামাল আমদানিতে সরকার ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর বাবদ কেটে রাখে। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেলেও এসব টাকা উদ্যোক্তারা ফেরত পাচ্ছে না। এই টাকা ফেরত দিলে ফিডের দাম কিছুটা হলেও কমবে। এ ছাড়া ডলারের দর অনেক বেড়েছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়েছে, যা ফিডের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডিম মুরগির দর নির্ধারণের সময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোলট্রি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপে প্রতিনিধি রাখার দরকার ছিল। অসাধু মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম বেঁধে দিয়ে কখনোই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তদারকি না করলে বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুযোগ নেবে।
এদিকে দুর্বল তদারকি ও সমন্বয়হীনতার সুযোগে চালের বাজার আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ মোকাম নওগাঁর মহাদেবপুরসহ অন্যান্য মোকামে আউশের ভরা মৌসুমেও দফায় দফায় চালের দাম বাড়ছে। আর মোকামে চালের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা, মাঝারি চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা এবং চিকন চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। আর মোকামের চালকল মালিকদের দাবি, ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে।
আর বড় বড় মিল মালকিরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময় বিদু্যতের ঘন ঘন লোডশেডিং দেখা দেওয়ায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে বাজারে চালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এ কারণেও চালের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, 'চালের দাম কেন বাড়ছে, জিজ্ঞাসা করলে ব্যবসায়ীরা বলবে বাজারে ধান কম, তাই চালের দাম বেড়েছে। বন্যার কথাও বলবে তারা। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য জায়গায়। এখন বাজারে ধান কম থাকলেও ধান আছে উত্তরাঞ্চলের চাতাল মালিকদের কাছে। তারা আগেই ধান কিনে স্টক করে রেখেছে। এখন তারা সুযোগ পেয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। সর্বোচ্চ ৩০ জন চাতাল মালিক এটা নিয়ন্ত্রণ করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা সরকার পতনের পর কয়েকদিন ভয়ে সক্রিয় হয়নি। তখন চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু এখন তারা আবার সক্রিয় হয়েছে। তারা আগে ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের লোক, এখন তারা ভোল পাল্টে নতুনদের লোক হয়ে সিন্ডিকেট শুরু করেছে।' সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে চালের বাজার আরও অস্থির হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আলুর ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার পাশাপাশি ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বাজারে আগের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে এই দুটি পণ্য। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে হঠাৎ বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি মন (৩৭.৩২ কেজি) চিনিতে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। আর কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় চিনি পরিশোধনের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে চিনির দাম বাড়ছে বলে খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক জানিয়েছেন। যদিও বাজার পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চিনি মুজত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। এসব কারণেও বাড়ছে চিনির দাম। চিনির বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
যদিও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো ডলার সংকট চরমে। আগে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে ৫ শতাংশ মার্জিনে এলসি খোলা যেত। এখন ওই সুযোগ পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এখন ১০০ শতাংশ পেমেন্ট দিয়ে এলসি খুলতে হচ্ছে। এতে বেশির ভাগ আমদানিকারক এলসি খুলতে নিরুৎসাহী হচ্ছেন। এমনকি অনেক আমাদানিকারক এলসি খোলা বন্ধ রেখেছেন। এলসি খুলতে না পারার কারণে চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কাঁচামাল কস্টিক সোডা, চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত লবণ (সালফাইড লবণ), চুনাজাতীয় পদার্থ ও এম্বাইর লাইট (পানি শোধনের কিট) আমদানি বন্ধ রয়েছে। এসব কাঁচামাল ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। ডলার সংকট ও পুরো টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে। ফলে অনেক আমদানিকারক এলসি খুলছেন না। একইভাবে চিনির দাম বাড়ার অন্যতম কারণ স্স্নিপ বাণিজ্য।
যদিও ব্যবসায়ীদের অনেকের অভিযোগ, কিছু বড় বড় গ্রম্নপ চিনির বাজারকে অস্থিতিশীল করছে। প্রশাসন শক্ত হাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে চিনির বাজারের অস্থিরতা কাটবে না। চিনির পুরো বাজারও এখন সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। অতি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এমন ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা গেলে তবে ভোক্তারা সুবিধা পাবেন।