ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার নাজুক দশা আগের মতোই রয়ে গেছে। এমনকি গত বছর যেসব কারণে সর্বোচ্চ মৃতু্য হয়েছে সে সংকটগুলোও দূর করা হয়নি। অন্যদিকে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কার্যকর তৎপরতা বাড়েনি। চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীসহ ডেঙ্গুপ্রবণ অন্যান্য এলাকার অবস্থাও একই রকম। ফলে এ বছর রোগীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আনুপাতিক হারে মৃতু্যর সংখ্যা বাড়ারও জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩ জন; এর মধ্যে রোববার এক দিনে সর্বোচ্চ ৬ জনসহ মোট মারা গেছে ৪৮ জন। এ হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যর হার প্রতি হাজারে ৪ দশমিক ২৮ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) পরিসংখ্যানে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি। তাই বিষয়টিকে চরম উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছেন রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদরা।
তাদের ভাষ্য, রোগটির বাহক এডিস মশা এরই মধ্যে আচরণ বদলে ফেলেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর লক্ষণেও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হতেও দেখা যাচ্ছে কম। যদিও এর শক সিনড্রোম এখন আরো প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। শনাক্তের আগেই মৃতু্যর ঘটনাও শোনা যাচ্ছে অনেক।
রোগীরা চিকিৎসার আওতায় দেরিতে আসছে বলে মৃতু্য বেশি হচ্ছে- এমন মন্তব্য করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, 'রোগীরা শেষ মুহূর্তে চিকিৎসার আওতায় আসছে। আর যে রোগী ও মৃতু্য সংখ্যা জানা যাচ্ছে তা হাসপাতালভিত্তিক। এর বাইরে যেসব রোগী রয়েছে এবং মৃতু্য হচ্ছে তা হিসাবের বাইরে থাকছে। কৌশলগত পর্যবেক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। ব্রাজিল, বলিভিয়া, পেরুতে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তারা কখনো কখনো ডবিস্নউএইচও ঘোষিত রেড জোনের মধ্যে পড়েছিল। আমরাও সেদিকে যাচ্ছি। আগামীতে ডেঙ্গু আরো মারাত্মক হতে পারে। আমাদের দেশে ওইসব দেশের থেকে রোগী কম হলেও তাদের চেয়ে মৃতু্যহার বেশি। সারাদেশে ডেঙ্গু যেভাবে
\হছড়িয়ে পড়ছে তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা কঠিন হবে।'
ডেঙ্গুতে মৃতু্য শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য উলেস্নখ করে এ রোগতত্ত্ববিদ বলেন, প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগে মৃতু্য হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা বৈজ্ঞানিক হওয়া উচিত। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত। ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নারী, শিশু, গর্ভবতী, বয়োবৃদ্ধদের মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাদের যদি হাসপাতালে ভর্তির মতো অবস্থা না-ও হয়, তবুও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। মশা, রোগী ও যে কীটনাশক দিয়ে মশা মারা হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে দেশে সার্ভিল্যান্স বা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ জরুরি।'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, 'কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটি সবাই জানে। কিন্তু প্রতিবারই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিবারই বলছি আমরা কাজ করছি, এটা করছি, সেটা করছি। কিন্তু নাগরিকরা ফলাফল পাচ্ছে না।'
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে বলে মনে করছেন এই কীটতত্ত্ববিদ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনটি ব্যবস্থার কথা জানান অধ্যাপক কবিরুল বাশার। এর মধ্যে হটস্পট ম্যানেজমেন্টের আওতায় যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে সেখানে ২০০ মিটারের মধ্যে ক্রাশ কর্মসূচি করতে হবে। উড়ন্ত এডিস মশাগুলো এবং লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। ফলে ওই বাড়িতে বা আশপাশের বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হবে না। দ্বিতীয়ত, সারা ঢাকাতেই লার্ভা নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইডিংয়ের বিষয়টাকে জোর দিতে হবে। তৃতীয়ত, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। এই তিনটি কাজ এখন জোরেশোরে শুরু করা গেলে অক্টোবরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে। তা না হলে অক্টোবরেও পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে মনে করেন তিনি।
তবে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কীটতত্ত্ববিদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেও এখনো টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কারও। সমস্যা মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। ডেঙ্গু প্রতিরোধ জোরালো কোনো কার্যক্রমও চোখে পড়ছে না। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও নেই কোনো অগ্রগতি।
মশা নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবীর এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মশা নিধন কর্মসূচি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের দাবি, তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালু আছে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে লিফলেট বিলি, মাইকিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায়। একইসঙ্গে ফগিং, লার্ভিসাইডিং এই কাজ চলবে। আর মোবাইল কোর্টও চলবে।
তবে তিনি এ বক্তব্য দেওয়ার পর সপ্তাহ ঘুরলেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডা, মধুবাগ ও মহানগর প্রকল্পসহ অন্তত ১০টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ তাদের চোখে পড়েনি। মশার উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে দিনে-রাতে দু'বেলাতেই ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রাখছে। দিনেও অনেকের ঘরে মশারি ঝুলছে।
বনশ্রীর বাসিন্দা আঞ্জুম আরা বেগম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন, 'প্রতিবেশীদের অনেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। তাই বেশকিছু দিন ধরে ভয়ে আছি। বাসার জানালা-দরজায় 'মসকিটো নেট' লাগিয়েছি। দিনে-রাতে ৪/৫ বার ঘরে মশা মারা ওষুধ ছিটাচ্ছি। শিশু সন্তানদের যতটা সম্ভব মশারির ভেতরে রাখার চেষ্টা করছি।'
আক্ষেপ করে এই গৃহিণী বলেন, 'সিটি করপোরেশন মশা মারতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মিডিয়ার মাধ্যমে জানছি। কিন্তু বাস্তবে তা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। প্রতিবেশীদের কারও হয়েছে তা-ও শুনিনি।' অথচ বনশ্রীর বেশ কয়েকটি বস্নক যে ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে উঠেছে তা সবারই জানা- দাবি করেন আঞ্জম আরা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, মূলত জুলাইয়ের শুরু থেকেই মশক নিধন কার্যক্রম ঢিলেতালে চলছিল। যা ৫ আগস্টের পর এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে। এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলররা আত্মগোপন করায় বিগত সময় মশা মারার কাজ তদারকির যে সামান্য তৎপরতা ছিল তা-ও পুরোপুরি বন্ধ।
যদিও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন কার্যক্রম আগে থেকেই চলছে। ডেঙ্গুর বিস্তার আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বলে সে অনুযায়ী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখন এ কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হয়েছে। ডেঙ্গু মশার প্রজনন কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এ কাজ সফল হলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসবে। যদিও কীটতত্ত্ববিদরা তাদের এ দাবির সঙ্গে একমত হতে পারেননি।
অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ে আরও উদ্বেগের বিষয় হলো এতে আক্রান্ত রোগীর মৃতু্যহার বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেও নেই কোনো পদক্ষেপ। এমনকি গত বছরের মাঝামাঝি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মৃতু্য পর্যালোচনার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পর্যালোচনা শেষ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কোনো বিশ্লেষণও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ডেঙ্গুতে যত বেশি মানুষ আক্রান্ত হবেন, মৃতু্য তত বাড়বে। তবে মৃতু্য বেশি হওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ ও ডেঙ্গু চিকিৎসার জাতীয় নির্দেশিকার প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত ব্যক্তির ইমিউনিটি কমপেস্নক্স রিঅ্যাকশন দেখা দেয়। এসব রোগীর পস্নাজমা লিকেজ বেশি হয়। রোগী শকে চলে যান। মৃতু্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার এটাই অন্যতম কারণ। এছাড়া জ্বর হওয়ার পরও অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। হাসপাতালে রোগী আসছে অনেক দেরিতে অথবা পরিস্থিতি অনেক জটিল হওয়ার পর। তবে কী কারণে ডেঙ্গু রোগী বেশি মারা যাচ্ছে তার সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। 'ডেথ রিভিউ' বা 'মৃতু্য পর্যালোচনা' করা হলে বিষয়টি পরিষ্কার করা সম্ভব হতো। গত বছরের মাঝামাঝি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মৃতু্য পর্যালোচনার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পর্যালোচনা শেষ করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই মৃতু্য পর্যালোচনার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। যদি তা কবে নাগাদ তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, ঢাকায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মৃতু্য বেশি হবে। কিন্তু ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি অন্য। সেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্বল্পতা থাকে। এ ছাড়া ঢাকায় রোগী আনার সময় অনেক সমস্যা হয়। ঠিক কোন কারণে মৃতু্য হচ্ছে তা স্পষ্ট হতো মৃতু্য পর্যালোচনা হলে। মৃতু্যর কারণ জানা গেছে রোগী ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে কিছু রোগীর প্রাণ রক্ষা করা যেত।
এদিকে স্বাস্থ্য খাতে চলমান অস্থিতিশীলতা এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে চিকিৎসকরা অনেকেই কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এসএসএমসি ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালীস্থ ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালসহ যেসব সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে সারা বছরই ডেঙ্গু রোগী বেশি ভর্তি হয়, এর সব কটিতেই ৫ আগস্টের পর থেকে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা চলছে। এ পরিস্থিতি বিরাজমান থাকলে এবারের ডেঙ্গুতে মৃতু্যর হার অস্বাভাবিকভাবে। বিষয়টি সবার জানা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপই অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।