খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সেটেলার বাঙালি কর্তৃক আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার উদাল বাগান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দীঘিনালা ইউনিটের সমন্বয়ক মিল্টন চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা চন্দন চাকমা, এলাকাবাসীর পক্ষে কৃপাপ্রিয় চাকমা, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গগণ বিকাশ চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে অগ্নিসংযোগ ও ধনরঞ্জন চাকমার প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
এর আগে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে নিহত ধনরঞ্জন চাকমার মরদেহে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দীঘিনালা ইউনিটের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় মামুন হত্যার প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দীঘিনালা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান একপর্যায়ে সহিংস ঘটনায় রূপ নেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ধনরঞ্জন চাকমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।