বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার সময় মারামারি ও ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুক্রবার রাতে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শুক্রবার জুমা নামাজে ইমামতি করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় মসজিদে এ ধরনের হামলা ও ক্ষতিসাধনের ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। 'ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।'
জুমার আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান ও সাবেক দুই খতিবের অনুসারীদের মধ্যে 'হাতাহাতি ও ভাঙচুরের' ঘটনা ঘটে, ভাঙচুর করা হয় মসজিদের দরজা-জানালাও। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন 'আত্মগোপনে চলে যান'। পরে খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওয়ালিউর রহমান খানকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন খতিব ওয়ালিয়ুর রহমান খানের মাইক্রোফোনে পুরনো খতিব মুফতি রুহুল আমিন হাত দিলে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা প্রতিবাদ করেন।
এরপর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়, এতে কয়েকজন আহতও হন। এ ঘটনায় মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া সাধারণ ব্যক্তিরা এক পাশে সরে যান।
এক পর্যায়ে দেখা যায়, মসজিদের নিচতলায় যেখানে ইমাম সাহেব নামাজ পড়ান, সেই চত্বরে গিয়ে দুই পক্ষের অনুসারীরা দুই দিকে অবস্থান নেন।
ওই সময় তারা একে-অপরের দিকে মসজিদের বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে নামাজ পড়তে আসা সাধারণ মানুষ নিচতলা থেকে বেরিয়ে পড়েন বাইরে।
প্রায় আধাঘণ্টা হাতাহাতি চলার পর সাবেক খতিব মুফতি রুহুল আমিন মসজিদ ছেড়ে চলে যান। পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সহায়তায় পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া ১টায় অনেকে আবার মসজিদে ঢোকেন নামাজ পড়তে।
মসজিদের ভেতরে জুতা, জুতার বাক্স ছোড়াছুড়ি এবং হাতাহাতির কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব ভিডিওতে মসজিদের দরজা-জানালা ভাঙচুর করতেও দেখা গেছে।