হালকা বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি, আভাস নেই তাপপ্রবাহ কমার
প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র গরম কিছুটা কমলেও তাপপ্রবাহ এখনই কমছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবারও ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তীব্র গরমের মধ্যেই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার আকাশ কালো করে মেঘ আসে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বৃষ্টি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি; ১৫-২০ মিনিট হালকা বৃষ্টির তা থেমে যায়।
এদিন ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিলস্না, বরিশাল এবং ভোলার কিছু জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, সামান্য এ বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েকদিন।
'যেসব এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে সেখানে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে এই বৃষ্টিতে সারাদেশে চলা তাপপ্রবাহের খুব একটা পরিবর্তন আসবে না।
কারণ ভারী বৃষ্টি হয়নি, আগামী কয়েকদিন সেই সম্ভাবনাও নেই। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা এখনই কমছে না।'
গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে তাপপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার শুক্রবার সন্ধ্যার বুলেটিনে নতুন করে আরও ৮ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগের দিন বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর ৫৬টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের তথ্য জানিয়েছিল।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
কয়েকদিন ধরে বয়ে চলা তীব্র গরমে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে নানা রোগে আক্রান্ত মানুষ। বিশেষ করে জ্বর, সর্দিকাশি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় আগের চেয়ে বেড়েছে বলে হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।